Type to search

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ২২ যুবককে লিবিয়ায় অকথ্য নির্যাতন

ইতালি পাঠানোর নামে আলমডাঙ্গার ২২ যুবকের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। ইতালির পরিবর্তে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে শারীরিকভাবে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে বাড়তি টাকার দাবিতে। জমিজমা বিক্রি ও ধারদেনা করে ২২ পরিবার এখন পথে বসেছে। কেউ কেউ ধারদেনা শোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেল করে এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগী ২২ পরিবারের সদস্যরা। তারা দাবি করেন, মাফিয়াদের হাতে জিম্মি ২২ যুবকের মধ্যে কারও কারও হাত ও পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে টাকার দাবিতে। ২২ যুবকের স্বজনরা তাদের মুক্তি ও টাকা ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মো. জান্টুর ছেলে মো. সাগর ইতালি প্রবাসী। তিনি ইতালিতে লোকবল নেওয়ার জন্য তার পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। ইতালি প্রবাসী সাগর তার বাবা জান্টু, মা বেদানা খাতুন, ভাই জীবনসহ কয়েকজনের মাধ্যমে ২২ যুবকের কাছ থেকে প্রথমে ১৩ লাখ টাকা করে নেন এবং জানান ইতালিতে গেলে দুই লাখ টাকা করে মাসে বেতন হবে।

প্রতারণায় পড়ে ২২ যুবক প্রথমে ১৩ লাখ টাকা করে দেন। পরে তাদের কাছ থেকে প্রতারক আদম দালালরা আরও দুই লাখ টাকা করে নেয় এবং গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাদেরকে নিয়ে যায়। কিন্তু ইতালি যাওয়ার কথা বলে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে অকথ্য নির্যাতন শুরু করা হয়। প্রবাসী সাগর সব পরিবারের কাছে ভিডিও কলে নির্যাতনের দৃশ্য দেখান এবং প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে আরও ২২ লাখ টাকা করে দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে অনেক পরিবার সাধ্যমতো আবারও টাকা পাঠায়। এ ব্যাপারে ২২ পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামের মৃত মঙ্গল মণ্ডলের ছেলে রেজাউল হক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।

বুধবার দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রবাসী সাগরসহ তার বাবা জান্টু, মা আমেনা খাতুন ও ভাই জীবন আহমেদসহ সাতজনকে। থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই জামাল হোসেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামিরা গাঢাকা দিয়েছে। আমরা তাদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

-যুগান্তর

Translate »