Type to search

সারাদেশ

চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন

জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি এর নির্দেশে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

মোতায়েনকৃত সেনাসদস্যদের কর্তৃক নিরলসভাবে উদ্ধার তৎপরতা, জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনা, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্নক সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর অন্যান্য ফরমেশনসমূহ নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান।

টানা কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে এবং বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।

এর মধ্যে সোমবার (৭ আগস্ট) বান্দরবান সদরে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। বান্দরবান-থানচি সড়কের ১২ মাইল এলাকায় পাহাড়ধসে সড়কে গাছ পড়ে বান্দরবান থেকে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অন্যদিকে, কক্সবাজার সদর উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।লামা বাজার আট ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় রান্নাবান্না করতে না পারায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন এলাকার মানুষ।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

এবিসিবি/এমআই

Translate »