কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো পৌনে ৪ কোটি টাকা
জেলা প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (১২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্স হিসেবে ব্যবহৃত আটটি লোহার সিন্দুক খোলা হয়। নিচ তলায় রক্ষিত সিন্দুক থেকে টাকা বের করে প্রথমে ১৫টি বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের দোতালায় মেঝেতে টাকাগুলো ঢেলে প্রথমে নোটওয়ারি বাছাই করা হয়। এই কাজে অংশগ্রহণ করেন মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসার ১২০ জন ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দ। পরে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। লোহার সিন্দুক খোলা, টাকা বাছাই ও গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান, শফিকুল ইসলাম, মো. ফজলে এলাহী, উবায়দুর রহমান সাহেল, সুশান্ত সিংহ, ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও সাদিয়া আফরিন তারিন।
রূপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা গণনার কাজে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, টাকা গণনার পর সমুদয় টাকা রূপালী ব্যাংকের পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে একসাথে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করার সুযোগ থাকবে। এই মসজিদের ফান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাছাড়া জটিল রোগে শনাক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ অনুদান দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
এবিসিবি/এমআই