কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সন্ত্রাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ৩ দিনে সংঘর্ষে ৭ রোহিঙ্গা নিহত হলো। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
স্থানীয়রা জানায়, কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী মাস্টার মুন্না গ্রুপের সাথে অনিবন্ধিত ক্যাম্পের সেলিম-আনাস গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের ওই দু’গ্রুপের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এর আগে গত ৪ ও ৫ অক্টোবর সংঘর্ষে ৩জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে র্যাব অভিযান চালিয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে কুতুপালং এক নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দু’গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৪ জন নিহত হয়েছে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জানিয়েছে। এ ঘটনায় কতজন আহত হয়েছে তা এখনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
নিহতদের মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াস উদ্দিন ওরফে গেচ্ছারীর নাম জানা গেছে। এবং বাকিদের নাম জানা যায়নি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত একজনের গলাকাটা ও অপর ৩জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১ জন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করেছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, কতিপয় রোহিঙ্গা কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। দু’দিন আগেও তাদের ধাওয়া দেয় র্যাব। এক পযায়ে কুতুপালং ছেড়ে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকার পাহাড়ে অবস্থান নেয় তারা। র্যাব গোপন সূত্রে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে দেশে তৈরি চারটি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।