Type to search

রাজনীতি

ভাস্কর্যের বিরোধিতা ধর্মের অপব্যবহার ছাড়া কিছু না: ড. কামাল

বছরখানেক ধরে চলা টানাপোড়েন ও পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের পর বিবদমান দু’পক্ষ এক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গণফোরামের।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গণফোরামে আর সমস্যা নেই।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাথে জোট করে ভোটে অংশ নিয়ে ১ম বারের মতো সংসদে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার পর গণফোরামে ভাঙন ধরে। গত বছরের এপ্রিলে কাউন্সিলে মোস্তফা মোহসীনকে সরিয়ে ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বাদ পড়েন। ড. কামাল-রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশের বিরুদ্ধে মন্টু-সুব্রত অংশ অবস্থান নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামালের পাশে মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন। ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। গণফোরামের কাউন্সিলে পূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তা তুলে ধরা হবে ৯ জানুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

ড. কামালের বেইলি রোডের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না কিবরিয়া। সুব্রত চৌধুরী ও একাদশ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়া অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গরহাজির ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, রেজা কিবরিয়া, আবু সাইয়িদ, ও সুব্রত চৌধুরী করোনার কারণে আইসোলেশনের রয়েছেন।

গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া ভোটের আগে গণফোরামে যোগ দেন। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানা যায়নি তার বক্তব্য। সুব্রত চৌধুরী জানান, ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগে তারা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। কোভিড-১৯ এর কারণে তিনি যেতে পারেননি।

১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. কামাল ১৯৯১-এর ভোটের পর দল ছেড়ে গণফোরাম গঠন করেন। বয়সের কারণে আর নেতৃত্বে থাকতে চান না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সবার অনুরোধে এতদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার দিতে হবে নতুনদের নেতৃত্ব। তিনি চান, নতুন নেতৃত্ব আসুক দলের তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত।

বহিস্কার হয়ে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোহসীন মন্টু গণফোরামে আসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল তাদের। যে কোনো বাড়িতে ভাই-ভাইয়ে ঝগড়া হতেই পারে। আবার নিজেরা একসাথে হয়ে যায়। গণফোরামের অভিভাবক ড. কামালকে সামনে রেখে করে ফেলেছেন সমস্যার সমাধান। আগামী ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলের যে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী ড. কামাল জানান, ভাস্কর্যের বিরোধিতা ধর্মের অপব্যবহার ছাড়া কিছু না। জাতিকে বিভক্ত করার জন্য ভাস্কর্য ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতি, ঘুষ, অর্থ পাচারে দেশে ক্রান্তিকাল চলছে।বিরাজ করছে অস্বস্তিকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা মানুষকে নিয়ে মাঠে কাজ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসএম জগলুল হায়দার, শফিক উল্লাহ, মোহসীন রশীদ, এ আর জাহাঙ্গীরসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Translate »