পান্নার কাছে দুই কোটি ডলার ছিল না, দাবি স্বজনদের
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার লাশ উদ্ধারের সময় প্রায় ২ কোটি ডলার ছিল বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা বানোয়াট বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্বজনরা।
গত ২৬ আগস্ট ভারতের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগান থেকে পান্নার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকাটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই) এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালানোর সঙ্গে পান্নার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ডলার ছিল বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। সেই সংবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ইত্তেফাক অনলাইন।
এক প্রতিবাদ লিপিতে পান্নার ভাই মো. জাফর আলী খান এ সংবাদকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অবিশ্বাস্য বলে উল্লেখ করেছেন।এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় কোনো মুদ্রা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা পুলিশের প্রধান গিরি প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘অর্থকড়ির বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি, তখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও স্মার্টওয়াচ ছাড়া কোনো অর্থকড়ি পাওয়া যায়নি।’
মেঘালয় পুলিশ পান্নার লাশ ২৬ আগস্ট উদ্ধারের কথা জানালেও তার ভাগ্নে লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু ২৪ আগস্ট দাবি করে বলেছেন, তার মামার সঙ্গে থাকা অন্যরা জানিয়েছেন, ওইদিন সকালে শিলংয়ে একটি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে মারা গেছেন তার মামা।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক হন।
পান্নার স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালে মারা যান। আইরিন উপসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। এ দম্পতির ইফতেশাম আফতারি আরিয়ান নামে এক ছেলে আছে।
-ইউএনআই