চেষ্টা করেও বাংলাদেশে সফর আসা যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগানের সাক্ষাৎ পায়নি বিএনপি। এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় চলছে। সাক্ষাৎ না পাওয়ার বিষয়টিকে বিএনপির একাংশ দলের কূটনৈতিক শাখার ব্যর্থতা হিসেবে মনে করেছেন। গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা ছেড়েছেন স্টিফেন।
তবে বিএনপির কূটনৈতিক শাখার প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল না। প্রোগ্রাম হলে তো করবে তারাই- এটাই নিয়ম।বিএনপির এটা তো বিষয় নয়।
বিএনপির এক নেতা জানান, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষের শক্তি হিসেবে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু মনে করে। ব্যর্থতা দেখা গেল সেখানেও। এজন্য সঠিক জায়গায় সঠিক ব্যক্তির না থাকা এবং কূটনীতিতে দলের ভুল কৌশলকে ওই নেতা দায়ী করেন।
তিনি বলেন, সাক্ষাৎ হলে অন্তত দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে দেশে সুশাসনের অভাব, গণতন্ত্রহীনতা, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া যেত।
দলীয়সূত্র জানায়, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগানের আসার খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিএনপির কূটনীতিক শাখার পক্ষ থেকে দেশটির দূতাবাসের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়। স্টিফেনের সাক্ষাৎ পেতে প্রথমে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেত্রী দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। ওই নেত্রী সাক্ষাতের জন্য তার নিজের নাম ও দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতার নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু দূতাবাস সাক্ষাতের বিষয়ে সাড়া দেয়নি। এরপর বিএনপির কূটনীতিক শাখার আরেক সদস্য সাক্ষাতের চেষ্টা চালান। চেষ্টাও কাজে লাগেনি তার।
বিএনপির কূটনীতিক শাখার একজন সদস্য জানান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করলে হয়তো সাক্ষাৎ পাওয়া যেত। সাক্ষাতের জন্য ২’জনের নাম দূতাবাসে পাঠানো হলেও প্রটোকল অনুযায়ী তাদের সাথে দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা নয়। ফলে দলের কূটনীতিক শাখার চেষ্টা সফল হয়নি।