আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনকে গোরস্থানে পাঠিয়েছেন: রিজভী

নির্বাচন কমিশন আওয়ামীলীগের কথায় স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানের নাম ও পদের নাম পাল্টাচ্ছে। এখন কোনো কাজ নাই নির্বাচন কমিশনের। এই আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনকে গোরস্থানে পাঠিয়েছে, দিনের ভোট রাতে করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এখন ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ করবেন, উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপজেলা পিতা করবেন, সিটি মেয়রকে মহানগর পিতা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সরকারের নির্দেশে উনি এদেশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য যে প্রতিষ্ঠান, যে পদ্ধতিগুলো সেটা পরিবর্তন করছেন। মতামত নিচ্ছেন না অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের এবং কারোর কথা পাত্তা দিচ্ছেন না।

’সোমবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব মন্তব্য করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

গত কয়েকদিন উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রিজভী জানান, ‘বাংলাদেশে একটা মরণযজ্ঞের মধ্যে আছি আমরা। আমি কয়েকদিন আগে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা সফর করেছি, যে বাড়িতে গেছি শুনেছি সেখানে মারা গেছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ। গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে সরকার। মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসা সেবাই নেই। ওই হাসপাতালে যাওয়া মানে মৃত্যুর নিশ্চিত সার্টিফিকেটে পকেটের মধ্যে করে নিয়ে যাওয়া। এর বাইরে অন্য কিছু নেই। এই সরকার শুধুমাত্র গুম, ক্রসফায়ার, খুনের মধ্য দিয়ে একটা অমানবিক, মনুষ্যত্বহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতিই শুধু চালু করেনি, তারা গোটা দেশের জনগণের মৃত্যুকূপে ঠেলে দেওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে তারা (সরকার) আজকে ফ্লাইওভার করেন, মেগা প্রজেক্ট করেন, টাকা চলে যায় কানাডায়, টাকা চলে যায় মালয়েশিয়ায়, শুনি সেকেন্ড হোমের কথা, শুনি বেগম পল্লী। আর বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রামণে ধুকে ধুকে মরছে সাধারণ মানুষরা। আর করোনাভাইরাস আক্রমণে মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের বারান্দায় মারা যাচ্ছে। সবচাইতে ভয়াবহ কাণ্ড হচ্ছে যে, নেগেটিভ করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন করোনা পজিটিভ, পরীক্ষায় পজিটিভ বলে দিচ্ছেন নেগেটিভ। এই জ্বাল-জালিয়াতি, প্রতারণা প্রত্যেকটার সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক আছে, আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটে লোক, আওয়ামী লীগের টকশোয়ার-এরা হচ্ছে সব এই সরকারের দালাল। সমস্ত অমানবিকতার জন্মদাতা হচ্ছে এই আওয়ামীলীগ  সরকার।’

ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় সাবেক ছাত্র নেতা খায়রুল কবির খোকন, সহিদুল ইসলাম বাবুল, আকরামুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, মাজেদুল ইসলাম রুমণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন জুম সভায় উপস্থিত ছিলেন।