সরকার–জামায়াতের সঙ্গে বিরোধে জড়াবে না বিএনপি
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘সরকার–জামায়াতের সঙ্গে বিরোধে জড়াবে না বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াতে ইসলামী ও গণ আন্দোলনের ছাত্রনেতৃত্ব—তিনটি পক্ষের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোনো ‘বিরোধ’ বা ‘বিবাদে’ না জড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিএনপি। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই দলটির এই কৌশল। বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক যেমনই হোক, তাদের হাতে রেখেই নির্বাচনী সড়কে উঠতে হবে। এ জন্য সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল বজায় থাকবে। তবে এখনই সরকারের সঙ্গে চরম বৈরিতায় যাবে না দলটি। জামায়াতের বেলায়ও একই কৌশলের কারণ, নির্বাচন।
জানা গেছে, নির্বাচন প্রশ্নে সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপি নতুন বছরে মাঠের কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছে। এর আগে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চায়। এ লক্ষ্যে দলটি শিগগিরই ১০টি বিভাগীয় শহরে দলীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা করবে। তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মুদ্রিত পুস্তিকা সরবরাহ করবে। মাঠপর্যায়ের নেতারা এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে সারা দেশে গণসংযোগ করবেন। এরপরই মার্চ-এপ্রিল থেকে নির্বাচনের দাবি তুলে মাঠের কর্মসূচিতে নামতে চাইছেন বিএনপির নেতারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই ধারাবাহিক কর্মসূচির লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়। এ নিয়ে বিএনপির নেতারা প্রতিদিনই কথা বলছেন। ৮ নভেম্বর বিএনপি ঢাকায় যে বড় শোভাযাত্রা করেছে, এর মূল লক্ষ্যই ছিল সরকারের ওপর নির্বাচনের ব্যাপারে চাপ তৈরি করা। এই শোভাযাত্রার পথ ছিল নয়াপল্টন থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে পর্যন্ত। এই পথে শোভাযাত্রা করে দলটির নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকারকে এই বার্তা দিলেন যে তাঁরা অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন চান।
তবে দিন যত যাচ্ছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনের পথে অনেক বাধা-অস্পষ্টতা দেখছেন। তাঁদের অনেকের আশঙ্কা, অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় শাসনক্ষমতায় থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক ছাত্রনেতাদের কারও কারও বক্তব্য ও তৎপরতা সন্দেহের চোখে দেখছেন। এর সঙ্গে জামায়াতের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও বিএনপির সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে বিএনপির তেমন অবস্থান বা প্রভাব নেই। সেদিক থেকে বরং জামায়াত এগিয়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াত ও ছাত্র নেতৃত্ব—এই তিন পক্ষকে সামনে রেখেই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে চলমান রাজনীতি এবং আগামী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে একধরনের সাবধানী বা কৌশলী হতে হচ্ছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বিষয়টির ব্যাখ্যা করে বলছেন, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে দেশের প্রেক্ষাপট বদলের পর তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করছেন। সেটি হলো দলটি আর বিএনপির পেছনে না থেকে নিজেরাই ক্ষমতাপ্রত্যাশী হয়ে উঠেছে এবং সে অনুযায়ী জামায়াতের নেতারা কথা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। আগস্ট বিপ্লবের পরই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনৈতিক মনোজগতের এই পরিবর্তন বিএনপির নেতৃত্বকে কৌশলী হতে বাধ্য করছে।
এরই মধ্যে সংবিধানের সংস্কার, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের প্রশ্ন সামনে এলে জামায়াত ও বিএনপিতে ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ পায়। জামায়াত সংবিধানের পদত্যাগ এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের প্রশ্ন সামনে এলে জামায়াত ও বিএনপিতে ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ পায়। জামায়াত সংবিধানের মৌলিক সংস্কার চায়। তারা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়েছে। আর সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের বিষয়ে দলটি নীতিগতভাবে একমত। কিন্তু এ তিনটি বিষয়েই বিএনপির অবস্থান জামায়াতের বিপরীতে। এ ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নেও দল দুটির ভেতরে ভিন্ন চিন্তার কথা জানা যায়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে এমন আলোচনাও আছে যে বিএনপি নির্বাচনের জন্য যতটা উদ্গ্রীব, জামায়াত ততটা নয়। এ বিষয়ে কারও কারও ব্যাখ্যা এমন যে ভোট হলে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি। তাই নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের ততটা তাড়া নেই। বরং জামায়াত সংস্কারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বেশি। কারণ, প্রেক্ষাপট বদল হলে আবারও স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসতে পারে, এই ভয়ে। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পদায়ন নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও দখল-চাঁদাবাজি নিয়েও দ্বন্দ্ব বাঁধছে।
অবশ্য জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে বিএনপি–জামায়াতসহ সবার ঐকমত্য থাকাটা জরুরি। কারণ, রাজনৈতিক বিভাজন দেশকে সংকটে ফেলে দিতে পারে।
যুগান্তর
‘সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ক্ষতি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার গোপনীয় চুক্তির দায় এসে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর। নিয়ম অনুযায়ী, অন্য কোনো দেশের সঙ্গে আমদানিসংক্রান্ত চুক্তির আগে এনবিআরের মতামত নিতে হয়। কিন্তু আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে তা একেবারেই অগ্রাহ্য করা হয়। আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিতে শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়ে এনবিআর অসম্মতি জানিয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে’ নিজেরাই শুল্ক-কর অব্যাহতি দিয়ে চুক্তি করে। এতে সরকার সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি শুল্ক হারিয়েছে। সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দার এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আদানি গ্রুপের সঙ্গে পিডিবির চুক্তি খতিয়ে দেখতে ৫ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের নির্ধারিত মূল্য ও তার ওপর শুল্ক-কর আদায়যোগ্য কিনা, প্রযোজ্য হলে শুল্ক-কর পরিশোধ করা হয়েছে কিনা এবং শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়ে এনবিআর অনুমতি দিয়েছিল কিনা-এসব বিষয় পর্যালোচনা করে কমিটি। ৩ নভেম্বর ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন এনবিআরে জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআর থেকে অব্যাহতির আদেশ না থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় বিদ্যুৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে পিডিবি কর্তৃক শুল্ক-কর পরিশোধ না করায় ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার (৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা, এক ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে) আদায়যোগ্য। অর্থাৎ এই অর্থ পিডিবি থেকে এনবিআরকে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা করেনি। এতে রাষ্ট্র ৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা শুল্ক ক্ষতির ক্ষতির মুখে পড়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘আদানির সঙ্গে চুক্তির আগে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ ভারতের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এনটিপিসি বিদ্যুৎ নিগাম লিমিটেড থেকে বিদ্যুৎ কেনে। এ ক্ষেত্রেও এনবিআর শুল্ক অব্যাহতিসংক্রান্ত আদেশ জারি করেনি। ফলে এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ শুল্ক-কর ফাঁকির দায় এড়াতে পারে না। তাই বিদ্যুৎ বিভাগকে শুল্ক পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘আদানির বিদ্যুতে ৪৮০০ কোটি শুল্ক ফাঁকি’। খবরে বলা হয়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের অসম বিদ্যুৎ চুক্তির খেসারত দিচ্ছে দেশের মানুষ। আদানির সঙ্গে দেশের স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি নিয়ে শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে ছিল অসন্তোষ ও ক্ষোভ। হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনিটপ্রতি অতিরিক্ত কয়লা ব্যবহার, বিল পরিশোধে বিলম্বের জন্য উচ্চহারের সুদসহ ক্যাপাসিটি চার্জ ধরে অতিরিক্ত পাওনা দাবি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মিত বিলের জন্য তাগিদ দিয়ে উৎপাদনও কমিয়েছে আদানি।
সাবেক সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ পাওয়ায় আইনের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে। ভারতকে সন্তুষ্ট করা অসম চুক্তিতে বাড়তি দামে বিদ্যুৎ কিনে এখন ফেঁসে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ পিডিবির ঘাড়ে। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাব করলে তা প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
রহনপুর কাস্টমস স্টেশন দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানির নিয়ম না থাকলেও তা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অনিয়ম ও ক্ষমতার দাপটে বিদ্যুৎ আমদানিতে কোনো ধরনের বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করা হয়নি। অথচ যেকোনো ধরনের আমদানিতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পুরো প্রক্রিয়াই ছিল অবৈধ ও ক্ষমতার নগ্ন হস্তক্ষেপ।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘হাজতখানায় বসে ১৯ লাখ টাকা দেন আসামি’। খবরে বলা হয়, থানার হাজতখানার ভেতরে হলুদ গেঞ্জি ও সাদা প্যান্ট পরে বসে রয়েছেন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। তার পাশে মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন আরও কয়েকজন। লোহার শিকের ফাঁক দিয়ে হাজতখানার ভেতর থেকে গুনে গুনে টাকার বান্ডিল হাতবদল করছেন মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি। ১ হাজার, ৫০০ ও ১০০ টাকার এসব বান্ডিল। হাজতের বাইরে থেকে সেই টাকার বান্ডিল গুনে কালো ও সাদা রঙের দুটি শপিং ব্যাগে রাখছেন আরও দু’জন। পাশে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পোশাক পরিহিত এক পুলিশ সদস্য।
এ দৃশ্য গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার। টাকা লেনদেনের ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সমকালের হাতে এসেছে। সেই ভিডিওর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজতখানার ভেতর থেকে টাকা গুনে দিচ্ছেন মোশতাক মোশাররফ টুটুল। আর পুলিশের উপস্থিতিতে হাজতির কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও আরিফুর রহমান খান। কীভাবে থানা হাজতের ভেতরে হাজতির কাছে লাখ লাখ টাকা পৌঁছাল– উঠেছে সেই প্রশ্ন।
জানা গেছে, থানার হাজতখানা থেকে টাকা লেনদেনের ভিডিওটি গত ২৭ অক্টোবরের। পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি টুটুলের ব্যবসায়ী অংশীদার মহিউদ্দিন। টুটুল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। আর আরিফ হলেন মহিউদ্দিনের সহযোগী। টুটুল ও মহিউদ্দিনের যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা রয়েছে। টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দু’জনের বাড়িই গাজীপুরে। চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৭ অক্টোবর একটি বাহিনী তাঁকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর পরই থানা হাজতে বসে ব্যবসায়িক অংশীদারকে টাকা দিতে বাধ্য হন টুটুল।
এই ঘটনায় ৪ নভেম্বর সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, জিএমপি কমিশনারসহ আট সংস্থায় অভিযোগ দেন টুটুলের ফুফাতো ভাই আইনজীবী জিএম ইব্রাহিম হোসেন। তিনি জানান, গত ২৭ অক্টোবর রাতে উত্তরা আশকোনা হজক্যাম্প এলাকা থেকে তাঁর মামাতো ভাই টুটুলকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়। এমন খবর পেয়ে ইব্রাহিম থানায় গেলে ওসি কায়সার আহমেদ তাঁর পেশা সম্পর্কে জানতে চান।
ইত্তেফাক
‘শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও স্থিতিশীল হচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার পরও দেশে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারের পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সীমান্ত থেকে মোবাইল ফোনে। তাই প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম পরিবর্তন হয়। সীমান্তে আমদানিকারক পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশীয় বাজারে দামে প্রভাব পড়বে না। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের অভিমত, খাতুনগঞ্জে আড়তদারদের মধ্যে সিন্ডিকেট রয়েছে। সীমান্তের আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
পেঁয়াজের মূল্য সহনীয় করতে আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ১০ শতাংশ হতে কমিয়ে শূন্য করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে পেঁয়াজ আমদানির ওপর কোনো প্রকার শুল্ক ও কর থাকল না। বছরের শেষের দিকে কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ না থাকায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে দাম বাড়া শুরু হয়েছে, যা এখনো বাড়ছে।
গতকাল বুধবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে আরো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পরও বাজারে দামের লাগাম টানা যাচ্ছে না। বাজারে পাকিস্তানি ও মিশরীয় পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০/৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশীয় উত্পাদিত পেঁয়াজ বাজারে নেই। শুল্ক প্রত্যাহারের পরও কেনা পেঁয়াজের দাম কমছে না জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ পেঁয়াজের আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, সীমান্তে বাজার দর বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কমিশনে বিক্রি করি। আমদানিকারকরা দাম না কমালে আমাদের কিছু করার নেই। আগামী ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
নয়া দিগন্ত
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘পঞ্চদশ সংশোধনীর লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ধ্বংস করা’। খবরে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, মৌলিক অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে দেশে যে ক’টি নির্বাচন হয়েছে, তা বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার বাতিল করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীকে মানুষের অধিকার হরণের পদক্ষেপ উল্লেখ করে এটিকে ‘কালারঅ্যাবল লেজিসলেশন’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
গতকাল বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের শুনানিতে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে বলেছি পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরো স্কিমটাই ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা। ফ্যাসিজমকে দীর্ঘায়িত করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মাধ্যমে অর্জিত যে বাংলাদেশ, সেটিকে ধ্বংস করা। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এমন প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে এর মাধ্যমে দেশের রুল অফ ল, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র সব কিছু মূল্যহীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এটি সংবিধানের ওপর প্রতারণার শামিল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের অংশ হিসেবে রাখা যাবে না। পঞ্চদশ সংশোধনী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান ও ২৪-এর জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল না হলে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এটা না যে হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হবে, ৬০ লাখের বেশি মানুষকে গায়েবি মামলার আসামি করা হবে, বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হবে। যাদের হাত নেই এরকম মানুষকেও আসামি করে বলা হয়েছে তারা বোমা মেরেছেন। হজে থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এসব হতে পারে না।
বণিক বার্তা
‘হারানো অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পুনর্গঠন করছে জামায়াতে ইসলামী’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক সময়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, দিগন্ত মিডিয়া, কেয়ারি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দলটির অন্য নেতারাও এমন অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষা খাতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় প্রধানতম ভূমিকা রেখেছিলেন দলটির নেতারা।
এক সময় এসব প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হতো দলটির অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির নিদর্শন হিসেবে। কিন্তু ২০১২ সালে মীর কাসেম আলীসহ দলটির আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আটক ও পরে আদালতের রায়ে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর থেকে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে থাকে। গত এক যুগে ইসলামী ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ হারান জামায়াত নেতারা।
এ দৃশ্যপটে আবার পরিবর্তন আসা শুরু হয় গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জামায়াতের নেতারা। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পর্ষদে নিজেদের অবস্থান শক্ত করাসহ হারানো অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পুনর্গঠনে নানাভাবে কাজ করছেন তারা।
জামায়াত নেতাদের হাতছাড়া হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত প্রতিষ্ঠাতাদের হাতে ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘ঈর্ষাপরায়ণ ও পরশ্রীকাতর হয়ে করায়ত্ত করে ধ্বংস করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা। এখন ফ্যাসিবাদী যুগের অবসান হয়েছে। আমরা আশা করি সেসব প্রতিষ্ঠান দখলমুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠাতাদের হাতেই ফিরে আসবে। তবে তা বিভিন্ন ট্রাস্ট, সোসাইটি, ফাউন্ডেশনের আইন অনুযায়ী ন্যায্যভাবে যেন ফেরত আসে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারাও সেভাবে চেষ্টা করছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। অন্যায়ভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এখন যারা এ আদর্শের অনুসারী তারা এটিকে ধরে রেখে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। দখলমুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানগুলো মূল পরিচালক, মূল উদ্যোক্তা তাদের হাতেই ফিরে আসবে।’
আজকের পত্রিকা
‘হাজার কোটির ইভিএম এখন ইসির বোঝা’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প নিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেই নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ইভিএম কোথায় রাখা হবে, প্রকল্পে তা ছিল না। এ কারণে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউসের (গুদাম) বকেয়া ভাড়ার টাকাও দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএম বুঝে নিয়ে ওয়্যারহাউস খালি করতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ।
এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্পটির সময় শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন। অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রকল্পের ১১৬ কোটি টাকা, যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএমটিএফের দাবি, ভাড়া বাবদ ইসির কাছে তারা ৬০ কোটি টাকা পায়। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং প্রকল্প পরিচালক বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্পটি নেওয়ায় রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের অর্থ কার্যকর ব্যবহার হয়নি।
বিএমটিএফ ওয়্যারহাউস খালি করতে বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য থাকায় ইসি সচিবালয় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরেকবার বাড়াতে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয়বার পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। প্রসঙ্গত, বর্ধিত মেয়াদ শেষের চার দিন আগে গত ২৬ জুনও একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
ইভিএম প্রকল্প নিয়ে কথা হলে সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টা শেষ করতে চাচ্ছি। আমাকে প্রকল্পটি বুঝে নিতে হবে। এ কথাগুলোই আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। বিএমটিএফের গুদামের ভাড়ার বিষয়টি সেটেল (ফয়সালা) করতে হবে। আমি দেব কীভাবে?’
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Uprising injured withdraw protest’ অর্থাৎ ‘বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতরা উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন করেছেন। পরে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে হাসপাতালে ফিরে যান তারা।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ করেন আহতরা।
পরে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় সেখানে যান আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আহতদের সঠিক চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন উপদেষ্টারা। পরে সেখান থেকে সরে যান আহতরা।
দেশ রূপান্তর
আন্দোলন দমাতে বল প্রয়োগ নিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান ‘শিরোনাম ১৭১৭ পুলিশ চিহ্নিত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সাধারণ ছাত্র ও নিরীহ লোকজনকে। যেসব পুলিশ সদস্য গুলি চালানো, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও ক্ল্যাশ গ্রেনেড ছুড়েছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭১৭।
এই আন্দোলনেই পুলিশ প্রথমবারের মতো ক্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। এটি মূলত ভিড় ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র হিসেবে পরিচিত। পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ওই সূত্রের তথ্যমতে, আন্দোলনকারীদের রুখতে মাঠে ১৪৭৯টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ১৪ হাজার ২২৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এছাড়া এই আন্দোলনেই পুলিশ প্রথমবারের মতো ক্ল্যাশ গ্রেনেড (ভিড় ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র) ব্যবহার করেছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই গ্রেনেডটি ব্যবহার করা হয়েছে ২৭৪টি।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ডাকে। ওই দিন আন্দোলন নস্যাৎ করতে বেপরোয়া ছিল পুলিশ।
তিনি জানান, পুলিশ বিপুল পরিমাণ গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঢাকায় তান্ডব চালানো হয় সবচেয়ে বেশি। এরপর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশালে বেশি ঘটে। তবে যশোর ও গোপালগঞ্জে পুলিশ এক রাউন্ডও গুলি বা টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেনি।
-মানবজমিন