Type to search

রাজনীতি

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কফিল-জাহাঙ্গীর গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২

আসন্ন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে  দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসংঘর্ষে ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই অফিসের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর)  বিকেল ৫টায় উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারের জন্য দলটি ডাকে। কিন্তু তার আগেই সেখানে কফিল উদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা উপস্থিত হন। যুবদলের নেতা এস এম জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে বিএনপির সমার্থিত কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকলে প্রথমে কথা কাটাকাটি, গালিগালাস, ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এর আগে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে এস এম জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দিতে দলের হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা-১৮ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি সমর্থিত আট কাউন্সিলর প্রার্থী। তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ৪৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আক্তার হোসেন, ৪৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল, ৪৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোতালেব হোসেন রতন, ৪৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুর রহমান আরিফ, ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন, সংরক্ষিত ৫২, ৫৩ ও ৫৪ ওয়ার্ডের প্রার্থী সোহেলী পারভীন শিখা এবং সংরক্ষিত ৪৯, ৫০ ও ৫১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লুৎফা খানম চৌধুরী।

তারা লিখিত ভাবে বলেন, যু্বনেতা এসএম জাহাঙ্গীর এলাকায় বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। আওয়ামী লীগের সাথে তিনি আঁতাত করে রাজনীতি করেন। এলাকার নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা তার দ্বারাও নানাভাবে হেনস্তা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তিনি।

গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান জানান, দুপুরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দু” পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে ওই অফিসের আশপাশে অর্ধশতাধিক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Translate »