বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, একারণে সব নির্বাচনে অংশ নেব: মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী আইন সংশোধনের নামে নির্বাচন কমিশন বিধ্বস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আইন হচ্ছে একটি রক্ষাকবচ অর্থাৎ আইন পরিবর্তনের কাজে কমিশন হাত দিতে পারে না। নির্বাচন কমিশন আইন করার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে সরকার চাইলে। কিন্তু স্বপ্রণোদিত হয়ে কমিশনের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। আইন পরিবর্তন করার মাধ্যমে ক্ষমতা খর্ব করা আত্মহত্যার শামিল বলে উল্লেখ করে বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন ইতোমধ্যে ৩ বছরের বেশি সময় পার করেছে। বর্তমান কমিশন এই সময়ে একটিও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি। এই অবস্থায় নির্বাচনী আইন সংশোধনের নামে বিধ্বস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে তারা। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। নির্বাচন কমিশনের উচিত নির্বাচনী ব্যবস্থার যে ক্ষতি ইতোমধ্যে করেছে তারা সেই ক্ষতি পূরণ করা, নতুন কোনো সর্বনাশের হাত থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে রক্ষা করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো রাজনৈতিক দলের কোন শ্রদ্ধা কিংবা আস্থা নেই। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে তারা। তাই বাতিল করতে হবে এই নির্বাচন কমিশন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধায়নে এবং একটি নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এ জন্য গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে বিএনপি মহাসচিব সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান।
নির্বাচনী আইন সংশোধনে কমিশনের উদ্যোগের বিষয়গুলো নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, আইনের দ্বারস্থ তখনই হওয়া যায় যখন আইন থাকে দেশে, যখন দেশে বিচার পাওয়া যাবে।
তাহলে নির্বাচনে যাচ্ছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আমরা, গণতান্ত্রিক পথেই সরকার পরিবর্তনে আমরা বিশ্বাসী। এটার কারণে সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি আমরা।