ধর্ষণকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি নাহিদ ইসলামের

পটুয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একজন শহীদের কিশোরী মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে দেখতে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তার খোঁজখবর নেন।
পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সেখানে নাহিদ ইসলাম বলেন, ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। প্রশাসন যদি আসামিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজপথে অবস্থান নেবে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ দেখতে চাই। এরই মধ্যে একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তার করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে নয়, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবেই ধর্ষণের বিচার চাই। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার করতে হবে। এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচার হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে আছি। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার আইন পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি। অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পলাতক রয়েছেন সিফাত মুন্সি।
-ইত্তেফাক