আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দেয়া বক্তব্য ৭দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ও তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ (আইপি) টিভি।
মাহবুবউল আলম হানিফ জানান, ‘বিএনপি নেতা আলাল যে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়েছে, এ নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। মির্জা ফখরুল সেই মামলার নিন্দা করে প্রকারান্তরে বক্তব্যের প্রতি সমথন দিয়েছেন। আমরা তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না করে জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে আলালের বিরুদ্ধে।’
তিনি জানান, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ডা. মুরাদ হাসানের কথা আসার পরে এ্যাকশন নেয়া হয়েছে। জেলা কমিটি থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় কখনো অরুচিকর কথা-বাতা, অশালীন বক্তব্য সমর্থন করে না আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানান, অশুভ পন্থায়, অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করে দল গঠন করার ফলে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক শিক্ষাও নাই এবং তাদের মধ্যে ছিলো না শালীনতাও। আজকে শুধু আলাল নয়, বিএনপি শীষ নেতা খালেদা জিয়াও শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করেতও পিছপা হননি।
তিনি জানান, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে কর্মীসভা করে, জাতির পিতার নাম নেয়ার সময় শ্রদ্ধা নিয়ে উচ্চারণ করে না পুরো নামটা। এরা কত বড় অসভ্য, অশিক্ষিত হলে এসব করতে পারে। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার মায়ের বয়সী, পুরো নামটাও নেয় না তার। বিএনপি নামক দলটি শালীনতা বিবর্জিত, কুরুচিপূর্ণ, অসভ্য দল এটা বারবার প্রমাণিত।’
হানিফ জানান, বেগম জিয়া অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য বিদেশিদের ডেকে নিয়ে কান্না করছে বিএনপি নেতারা। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানবতা দেখিয়েছিন এমন একটা নির্দশন দেখাতে পারবেন? ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নিধন শুরু করে বিএনপি। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কমীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির অত্যাচারে জনগণ ঘরে থাকতে পারেনি। আর এখন চিকিৎসার কথা বলে সকাল-বিকাল কান্না করছেন। প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি করে গেছেন বিএনপি। এখন মানবতার কান্না করেন। লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের।
বিবার্তা২৪ডটনেট সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে কী-নোট উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম মাসুম বিল্লাহ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবমহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এবিসিবি/এমআইওউ