আগে নিম্নবিত্তরা কিনে খেতে পারত না, এখন মধ্যবিত্তরাও পারছে না
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আগে দেশের নিম্নবিত্ত মানুষ কিনে খেতে পারত না, এখন সেটা মধ্যবিত্ত পর্যন্ত চলে এসেছে। তারা না পারছে হাত পাততে, না পারছে ভিক্ষা করতে। তাদের যে আয়, তা দিয়ে কোনো কিছু কিনে খেতে পারছে না। একটি ডিম কিনতে যদি ১৭ টাকা লাগে তাহলে ফ্লাইওভার দেখিয়ে আপনি কী করবেন।সরকারের লোকজন সব লুটেপুটে খাচ্ছে।
’শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী। ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী চিত্র কর্মশালা ও কবিতা পাঠ’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান আর্কাইভ (জেডআরএ)।
আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জয় দে রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ড. আব্দুস সাত্তার, বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানসহ আরও অনেকে।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীদেরকে দিয়ে বলাচ্ছেন, সব দেশ ঠিক হয়ে গেছে। তলে তলে ঠিক হয়ে গেছে। আপনাদের এইসব কথার মানে জনগণ বোঝে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনের নির্বাচনে ভোটার ও বিরোধীদলের দরকার নেই। আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে নির্বাচন কি সেটা তো আমরা জানি। সেই নির্বাচনে ভোটারের দরকার নেই। দেশের জনগণের দরকার নেই। বিরোধী দল দরকার নেই।’
বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক বলেন, শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা বলেন, তারা সংবিধানের বাইরে যাবে না। আপনারা কি বরাবরই সংবিধানের বাইরে যাননি? ১৯৯৫-৯৬ সালে যে বিধ্বংসী আন্দোলন করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তখন তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে ছিল না। তখন আপনারা যে জ্বালাও-পোড়াও করেছেন, তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলেছেন। তখন সব দল মিলে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হলো। তাহলে আজ যাবেন না কেন? এক মুখে দুই কথা হয় কীভাবে?’
তিনি বলেন, ‘আপনার অধীনে আরেকটি ভূয়া নির্বাচন করতে চান। আর আপনার অধীনে নির্বাচন মানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। বাকিগুলোতে উপস্থিত ছিল পাঁচ শতাংশ। আর ২০১৮ সালের নির্বাচন করেছেন রাতে। ভোর হওয়ার আগেই ব্যালট বক্স পূর্ণ হয়ে গেছে। তবে এই প্রহসনে আর কোনো দল-জনগণ যাবে না।’-ইত্তেফাক
এবিসিবি/এমআই