ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ‘উদ্বেগ’ ও ‘আশঙ্কা’ তৈরি করেছে: রিজভী
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া, ইউক্রেন, ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম বলাটা ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক।
গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রিকশাচালক সাগরের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পর বিএনপির নেতা রিজভী এ কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রামপুরায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সে দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এটা তাদের দেশের ব্যাপার, তাদের দেশের নিরাপত্তার ব্যাপার। কিন্তু আমাদের উদ্বেগের বিষয়, যা আমাদের আশঙ্কা তৈরি করেছে, তিনি (রাজনাথ) বলেছেন, রাশিয়া, ইউক্রেন, ইসরায়েল–হামাস ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে তো কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না।’
জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখানে শতাব্দীর সেরা গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে, এটা আমাদের নিজের বিষয়। আমাদের ওপর দানব চেপে বসে আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছিল, জনগণের পকেট কেটে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, সেই দানব সরকারকে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের রক্ত দিয়ে লড়াই করেছে, আন্দোলন করেছে, সেই আন্দোলনের মুখে দানব সরকারের প্রধান পালিয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিদ্যমান।
’রিজভী বলেন, নানা ধরনের দুরভিসন্ধি এখনো চলছে। যারা পরাজিত হয়েছে, তাদের আছে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা, বিগত ১৬ বছরে এই কালোটাকা তারা কামিয়েছে। এখন তারা এই কালোটাকা ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র করছে। পোশাকশ্রমিকদের তারা নানাভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় আমরা বিএনপি পরিবার নামে সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহবুব মাসুম, আবদুল আউয়াল, আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, নানা ধরনের দুরভিসন্ধি এখনো চলছে। যারা পরাজিত হয়েছে, তাদের আছে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা, বিগত ১৬ বছরে এই কালোটাকা তারা কামিয়েছে। এখন তারা এই কালোটাকা ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র করছে। পোশাকশ্রমিকদের তারা নানাভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় আমরা বিএনপি পরিবার নামে সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহবুব মাসুম, আবদুল আউয়াল, আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
-প্রথম আলো