‘জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোটের পরিকল্পনা বিএনপির, বিরোধী শিবিরে উত্তেজনা’

বিএনপির জোট করা নিয়ে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Tension grips oppo camp over BNP move to bring in Jamaat’ অর্থাৎ ‘জামায়াতকে সাথে নেয়ার পরিকল্পনা বিএনপির, বিরোধী শিবিরে উত্তেজনা’।
এ খবরে বলা হচ্ছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে আসার জন্য বিএনপি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে প্রস্তাব দেয়ায় বিরোধী শিবিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতা সম্পর্কে ব্রিফ করার পর গত সপ্তাহে বিএনপির এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হঠাৎ করেই এ প্রস্তাব দেন। যা নিয়ে বিস্মিত হয়েছেন দলের অনেক নেতা।
পরে ছয় দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ পৃথকভাবে একটি বৈঠক করে এবং বিএনপিকে জানায় যে, জামায়াতকে একই মঞ্চে রাখা সেই নীতির পরিপন্থী হবে, যা তারা ৩১ দফা দাবি চূড়ান্ত করার সময় দলগুলো সিদ্ধান্ত নেয়।
তাদের মতে, আন্দোলনের বাইরে থাকা দলগুলোকে আলাদাভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টিও জানিয়েছে, জামায়াতের সঙ্গে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
জামায়াতকে একই প্ল্যাটফর্মে আনতে প্রস্তাবের বিষয়ে জেএসডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে সকল দল, জোট বা ব্যক্তিদের অবশ্যই সম্ভাবনা, জনসাধারণের ইচ্ছা বা আস্থা বিপন্ন হতে পারে
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন একযোগে আন্দোলনে ৩৬টি দল ও জোট যোগ দেয় এবং পরে আরও কয়েকটি দল যোগ দেয়। একযোগে আন্দোলনে না থাকায় জামায়াত ও আমার বাংলাদেশ পার্টি আলাদাভাবে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয়।
শরিকদের সাথে আওয়ামী লীগের আসন বণ্টন নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘শরিকদের আসন কমছে বিরোধীদের ভাগ্যে কী’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এবারের নির্বাচন ভোটে জেতা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের শরীর ও মিত্র দলগুলো আসন সমঝোতা চায়। তবে ভোটের মাঠে দুর্বল এই দলগুলোকে তাদের অপ্রত্যাশিত সংখ্যক আসন দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ।
এর আগে ১৪ দলের চার শরিকের আটটি আসন থাকলেও, তাদের পাঁচটির বেশি আসন ছাড়তে চাইছে না। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও কিংস পার্টি নামে পরিচিত পাওয়া দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা নিশ্চিত হয়নি।
জাপাকে ফের প্রধান বিরোধীদলের আসনে বসানো এবং জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা বানানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। জাপার প্রত্যাশা ৫০ আসন হলেও সংখ্যার বিষয়ে এখনো কিছু বলছে না আওয়ামী লীগ।
এবারে নির্বাচনে শরিক এবং মিত্রদের হিস্যা কমেছে। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে মিত্রদের ৫৩ আসন ছেড়েছিল আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনে ছেড়েছিল ৩৯ আসন।

কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘আসন সমঝোতা নাকি বড় বিরোধী দল’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত না হওয়ায় ১৪ দলীয় শরিকদের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন করতে পারছে না আওয়ামী লীগ।
শরিক কোন দলকে আওয়ামী লীগ কত আসন ছাড় দেবে, সেটা অনেকাংশে নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা কেমন হচ্ছে, তার ওপর।
জাতীয় পার্টি কি সমঝোতার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের ছাড় পাওয়া আসন বুঝে নেবে, নাকি বড় বিরোধী দল হতে ভোটের মাঠে লড়বে—এই মুহূর্তে এটাই বড় প্রশ্ন।
বুধবার জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় আসন বণ্টন সংক্রান্ত কমিটির বসার কথা রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হতে চায় জাতীয় পার্টি। সে ক্ষেত্রে একাদশ সংসদের চেয়ে দ্বাদশ সংসদে বেশি আসনের লক্ষ্য তাদের।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘স্বতন্ত্রদের নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দেখাতে এবং ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ক্ষমতাসীন দলটির ভেতরেই নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
দলের মনোনয়ন পাওয়া অনেকেই চান স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া হোক। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন, নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভূমিকা রাখবেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপিবিহীন ভোটে বিরোধী জোটের আরও অনেক দল আসবে বলে প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগের।
এমনকি বিএনপির অনেক নেতা দল ছেড়ে অন্য দলের হয়ে ও স্বতন্ত্র ভোট করবেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ দল ও ব্যক্তি আসেননি।
এ জন্য নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাধ্যমে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, এবার ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ৪২৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এরপরও ৩২৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্যদেরও অনেকে আছেন।

স্বাক্ষর গরমিল নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘স্বাক্ষর গরমিলে কপাল পুড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর গরমিলের কারণে এবার কপাল পুড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। প্রার্থিতা বাতিল হওয়া ৭৩১ জনের মধ্যে ৪২৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত সমর্থন তালিকায় গড়মিলের কারণে বাদ পড়েছেন তাদের বেশিরভাগ।
মূলত যাচাই বাছাইয়ে সময় সমর্থন তালিকার মাত্র ১০ জনের সত্যতা যাচাই করা হয় দৈবচয়ন ভিত্তিতে।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এসব ভোটার ভুয়া, স্বাক্ষরে মিল থাকে না, সঠিকতা পাওয়া যায় না। তখনই তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথমদিন যে ৪৩জন আবেদন করেছেন তার মধ্যে ৩০জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ৩০জনের মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর গরমিলের কারণে ২৬জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘বড় নয়, ধরা খেলেন ছোট ঋণখেলাপিরা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে ঋণখেলাপির দায়ে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের অধিকাংশই ছোট ঋণগ্রহীতা। এক্ষেত্রে বড় রাঘববোয়ালরা ধরা পড়েনি।
যেমন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, হাজার কোটি নয়, মাত্র ৮৭ হাজার টাকা খেলাপির দায়ে প্রার্থিতা হারালেন চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করা মো. সালাহ উদ্দিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাঘববোয়াল ঋণখেলাপিদের একের পর এক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সরকার। ছোটরা তো সে সুযোগ পায়নি। সে কারণে তারা খেলাপিমুক্ত হতে পারেনি।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রাঘববোয়ালদের অনেকেই ব্যাংকের মালিক। তাদের মধ্যে এমন অনেক আছেন-যারা নিজেদের ঋণ নিজেরাই পুনঃতফশিল করেন। যা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব ছিল।
এতে তাদের খেলাপি থেকে বের হওয়া অনেক সহজ হয়েছে। মূলত যে উদ্দেশ্যে আইনটি পাশ হয় অর্থাৎ ঋণখেলাপি হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। সে উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রার্থীদের নামে খেলাপি ঋণ থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে নবায়ন বা পরিশোধ করতে হয়। আর যথাসময়ে ঋণ নবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারেন। অন্যথায় প্রার্থী হতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ১১৮ জন প্রার্থী খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। এরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি।
নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ২৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বাতিল ৭৩১। এর মধ্যে শুধু ঋণখেলাপির জন্য বাতিল ১১৮।


ভিন্ন ধরণের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে দ্য ডেইলি স্টার ‘Police see dead man running’ অর্থাৎ ‘মৃত মানুষকে দৌড়ে যেতে দেখলো পুলিশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিন উদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে দুই বছর ১০ মাস আগে দাফন করা হয়েছিল।
তবে গাজীপুরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা গত ২৮শে অক্টোবর রাতে তাকে এবং অন্য ২১ জন ব্যক্তিকে স্পষ্ট দেখতে পান। তারা পুলিশের দিকে বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাচ্ছিল।
পরদিন গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে আমিনসহ ২২ জনকে আসামি করে। এবং অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করে ‘পুলিশ হত্যার চেষ্টার’ অভিযোগে মামলাটি করেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিকে তারগাঁও মেডিকেল মোড় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে এবং এসআই মামলার বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, তিনি রাস্তার পাশের লাইটের নীচে সন্দেহভাজনকে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছেন। তার সাথে অন্যরাও ছিল।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সাড়ে তিন বছরেই রাটিংয়ের কবলে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের মার্চে চালু হওয়া ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে চালুর সাড়ে তিন বছর পেরোতেই ‘রাটিং’ দেখা দিতে শুরু করেছে।
সড়কের যানবাহন চলাচলকারী অংশ, বিশেষ করে যে অংশের ওপর দিয়ে বেশির ভাগ যানবাহনের চাকা যায়, সেখানে চাকার আকৃতির সমান বা তার চেয়ে বেশি অংশ সমান্তরালে ডেবে যাওয়ার ঘটনাকে প্রকৌশলীদের ভাষায় বলা হয় রাটিং।
রাটিংয়ের ফলে মহাসড়কটি ডেবে যাওয়ার পাশাপাশি মাঝখানের রোড মার্কিংও আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে।
এমন অবস্থায় মহাসড়কটিতে যাতায়াত যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে, তেমনি দেখা দিয়েছে বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও।
অথচ কিলোমিটার প্রতি নির্মাণ ব্যয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক এই ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।
এই ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মহাসড়কটির প্রতি কিলোমিটার পেভমেন্ট বা পিচের পেছনে খরচ হয়েছে কিলোমিটার প্রতি ২৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।-বিবিসি
এবিসিবি/এমআই