ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় ঢাবিতে আনন্দ মিছিল
ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে হিসেবে নিষিদ্ধ করায় আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে ভিসি চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুম, মাহিন সরকার, হাসিব আল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম রিফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘আজ আমাদের জীবনের অন্যতম আনন্দের একটা দিন। ছাত্রলীগ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ ছিলো না। এই ছাত্রলীগ ১৫ জুলাই আমাদের ওপর হামলা করেছে। সারাদেশে তারা অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে শহীদ করেছে। তাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই ছাত্রলীগের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য।’
সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘এই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বলেছিল, ছাত্রলীগ নাকি রাজপথের সংগঠন। আজকে খুনি হাসিনা নেই, জারুল কবিও নেই। তাদেরকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। যারা কথায় কথায় আন্দোলনে জঙ্গিবাদ খোঁজত, তাদেরকে জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা মুবিববাদীকে গর্ত থেকে বের করে ধোলাই দিতে হবে।’
আশরিফা খাতুন বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যুর পর তারা রাজাকার দমন হয়েছে বলে উল্লাস করেছিল। বিগত ৫ বছরে ন্যায্য যে কোনো দাবি নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি, তারা মেরেছে। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গিয়েছি, সেখানে মেরেছে। কোনোভাবেই ছাত্রলীগ যেন ফিরতে না পারে।’
-সমকাল