বির্তকিত ওসি প্রদীপের সব ‘মার্ডারে’র বিচারের দাবি জানালেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বির্তকিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘মার্ডারে’র সবগুলোর বিচার দাবি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা।
সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে রাজধানীর উত্তরায় নিহত সিনহার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) চেয়ারম্যান মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার এই দাবি জানান।
তিনি জানান, সিনহা মো: রাশেদের হত্যার ব্যাপারে সোচ্চার হতে পেরেছি আমরা। কিন্তু সেই লোকগুলোর পরিবার তো মুখ খুলতে পারছে না। তাদের সঙ্গে কোনো সংগঠন নেই, অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সংস্থা নেই। তারা লিখেছে মিডিয়া পাশে দাঁড়িয়েছে,। আমরা চাই একটা একটা করে সব ঘটনার বিচার করা হোক। এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং যে ওসি প্রদীপ করেছে সেগুলোর বিচার করা হোক।
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের অস্ত্র সিজ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এটিই যাতে বিচারবহির্ভূত শেষ হত্যাকাণ্ড হয়। আর কোনো মায়ের বুক খালি যাতে না হয়।
সিনহা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করে মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার জানান, সিনহা হত্যার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে এ পর্যন্ত আমরা দেখেছি সরকারের মনোভাব পজিটিভ। আমরা আবেদন করব, যাতে সিনহা হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত না হয়।
তিনি আরো বলেন, যাদের ওপর এ ঘটনার তদন্তভার অর্পণ করা হয়েছে তারা অত্যন্ত যোগ্য ও দক্ষ। আমরা আশা করব ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) রক্ষা করবেন। অবলম্বন কোনো পক্ষ করবেন না।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর কক্সবাজারের টেকনাফ থানা থেকে ওসি,প্রদীপকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে ওসি প্রদীপ কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।