Type to search

জাতীয়

দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় আরও বেশি গুরুত্বের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে নিরবচ্ছিন্ন সেচের। সেচে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে বাড়াতে হবে উপরিস্থিত পানির ব্যবহার। যাতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে বিপর্যয় না হয় পরিবেশ। তিনি সুবিধামত বৃষ্টির পানি ধরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে তিনি সংযুক্ত হন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা কমিশন সদস্য সরকারের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন। প্রকল্পের বিভিন্ন দিকের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। সাধারণত একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিং করে থাকেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের অসুস্থতাজনিত কারণে কমিশন সদস্য ব্রিফ করেন। করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি দিকে যাচ্ছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সংশ্নিষ্ট সচিবরাও প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে আসাদুল ইসলাম আরও জানান, প্রকল্পের কাজের মান উন্নয়নে মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামীণ সড়ক নির্মাণেও উন্নতমান বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেছেন, ভারী যানবাহন চলাচল উপযোগী করে শহরের ন্যায় গ্রাম এলাকার সড়ক অবকাঠামোও উন্নত করতে হবে। কারণ, গ্রাম-শহর তফাৎ কমে আসায় গ্রামীণ সড়ক দিয়েও ভারী যানবাহন পরিবহনের দরকার হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সারাদেশে ১০০ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক এলাকা হওয়ার প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনে আরও বাড়বে চাহিদা। এ কারণে রানওয়ের উন্নয়ন দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যাতে পানি দূষিত না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা ছিল অতীতে।

১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার ৪ প্রকল্প অনুমোদন: একনেকে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) মোট ৪টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে একনেকে মঙ্গলবার মোট ৪টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। একটি সংটি সংশোধনী  মধ্যে তিনটি নতুন প্রকল্প। কোনো প্রকল্পেই বিদেশি অনুদান বা ঋণ,নেই। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সরকার ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থেই বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পগুলো।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সৈয়দপুর বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর ও শাহমাখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর রানওয়ে উন্নয়ন।

Translate »