Type to search

জাতীয়

শেখ হাসিনা-মোদী আলোচনার আগে আগামী মাসে পররাষ্ট্র সচিব ভারত সফরে যাবেন

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আসন্ন ভার্চুয়াল বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী মাসে নয়া দিল্লী সফরে যাবেন।

ভারত সফর সম্পর্কে মাসুদ বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল আলোচনার আগে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়া দিল্লী সফর করবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ১৬ বা ১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ২৬ শে মার্চ ব্যক্তিগতভাবে উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তিনি গত মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোড়াইস্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠকের পর বলেছিলেন, আমরা তাকে (নরেন্দ্র মোদী) আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং নীতিগতভাবে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে তারা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলতি বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে এই সফর বাতিল করা হয়েছিল।
ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ এবং ভারত পরের বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করবে এবং আশা করা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই উদযাপনের উদ্বোধনে যোগ দেবেন।

গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ষষ্ঠ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের আগে ড. মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় এখানে কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাতকালে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল হাসিনা-মোদী শীর্ষ বৈঠককে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগতভাবে সফরের বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী গত বছরের ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছিলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে, যাকে উভয় দেশের নেতারা ‘সোনালী অধ্যায়’ এবং ‘দৃঢ়’ বলে অভিহিত করছেন।

বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘রক্তের সম্পর্ক’ বলে উল্লেখ করে জানান,
আমাদের বিজয় ভারতের জয়, আমাদের উন্নয়ন ভারতের উন্নয়ন। কোন কিছুই এই (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

নয়া দিল্লী এবং ঢাকা অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা করতে চলতি বছরে মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের অপেক্ষায় আছে।

Translate »