Type to search

জাতীয়

রাজধানীর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ব্যাপক অনিয়ম, ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত নানা অনিয়ম পেয়েছে।হাসপাতালটির অস্ত্রোপচার কক্ষগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী পাওয়া গেছে এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অবস্থাও ছিল খারাপ। একজন রোগীর ব্যবহার করতে পারে, এমন মেডিকেল সামগ্রী ৩জন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করার প্রমাণও ভ্রাম্যমাণ আদালত পেয়েছে।

এসব অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুর থেকে টানা ৪ঘণ্টা এই অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিও ছিলেন এই অভিযানে বলে জানা গেছে।

র‌্যাব জানায়, মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। টানা ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নানা অনিয়ম খতিয়ে দেখেন। এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে নানা অনিয়ম দেখে কর্মকর্তারা হতাশতা প্রকাশ করেন। নানা অনিয়মে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও সবকিছু ঠিকভাবে চালাতে প্রতিষ্ঠানটিকে আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। হাসপাতালটি থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্টসহ সর্জিক্যাল সামগ্রীও জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে বিকেল ৫টার দিকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও টাস্কফোর্সের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীদের জন্য যে প্রটোকল মানা উচিত, সেখানে তা মানা হচ্ছিল না। এ ছাড়া মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব এবং করোনা ভাইরাস ইউনিট একই জায়গায় পাশাপাশি রয়েছে। যা রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর দিক।

তিনি বলেন, রোগীদের গুণগত যে সেবা দেওয়া প্রয়োজন, তা হাসপাতালটির নেই বলে মনে হয়েছে। এটা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা জানান, এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মই মানা হচ্ছিল না। ৪টি অস্ত্রোপচার কক্ষে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রীও মিলেছে। একজন রোগীর ব্যবহারযোগ্য মেডিকেল সামগ্রী ৩জন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো এখানে। হাতেনাতে এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে।

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, হাসপাতালটির নানা অনিয়ম দেখে মনে হয়েছে এখানে কোনো চিকিৎসা সেবা নেই। এখানে যে যার মতো চালাচ্ছে। যেসব ভুলত্রুটি আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তা ৭ দিনের মধ্যে সংশোধনের সময় দেওয়া হয়েছে। তা না করলে আইনের বিধিমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম দেখা গেছে, চাইলে ব্যবস্থা নিয়ে বন্ধ করে দিতে পারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Translate »