মালয়েশিয়ায় সাঁড়াশি অভিযানে ১১৩ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় চলমান অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদ অভিযানে ১১৩ বাংলাদেশিসহ ২৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত জোহর রাজ্যের পাঁচটি জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির জাতীয় পত্রিকা বেরিতা হারিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।
জোহর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস এক বিবৃতিতে বলেন, তার বিভাগ অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ এবং সুরক্ষা প্রদানকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে আপস করবে না।
তিনি বলেন, প্রথম অভিযানে গত শুক্রবার মধ্যরাতে পাঁচটি জেলায় ১৩০ জন বিদেশী এবং দুটি রিফ্লেক্সোলজি সেন্টারের নিয়োগকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম একযোগে অভিযানে, জোহর বাহরুতে মোট ৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বাতু পাহাতে নয় জন অবৈধ অভিবাসী এবং দুই জন নিয়োগকর্তা, মেরসিং এবং মুয়ার থেকে ১২ জন অবৈধ অভিবাসী এবং সেগামাতে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম অভিযানে ১৮টি কারখানা প্রাঙ্গণ এবং আবাসন বসতির পাশাপাশি বাতু পাহাত, মার্সিং, মুয়ার এবং সেগামাতে ১৭টি রিফ্লেক্সোলজি কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত এসব অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ৩৬ বাংলাদেশি, ১৫ পাকিস্তানী, ৩৪ ইন্দোনেশিয়ানসহ ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মায়ানমারের নারী ও পুরুষ অভিবাসী রয়েছে।
মোহাম্মদ রুশদি বলেন, রোববার রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাতু পাহাতের একটি শ্রমিক আবাসন কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে ১০৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়াই শেয়ার্ড হাউস বন্দোবস্তে বিদেশিরা বসবাস করছে বলে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান তিনি। এদের মধ্যে ৭৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে ।
তিনি বলেন, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের অধীনে অপরাধ করেছেন। পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে তাদের পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
-ইত্তেফাক