বরখাস্তকৃত ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির কারণে এবার ইসির মামলা
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্তকৃত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতি করে ২ এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ায় অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গুলশানা থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রোববার (৩০ আগস্ট) বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্ট নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা বর্তমানে জেলহাজতে।
মমিন মিয়া সোমবার (৩১ আগস্ট) বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুসারে অপরাধ করেছেন ডা. সাবরিনা। তার দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মামলায় বলা হয়েছে।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় ডা: সাবরিনার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক সাবরিনার জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর একটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮ জন্ম তারিখ। এবং অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স ৫ বছর কমানো হয়েছে। ২টি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন বরখাস্তকৃত ডা: সাবরিনা।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই আটক করা হয়। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সাথে যুক্ত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।