ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে সংসদে বিল পাস
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০ পাস করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলে বিদ্যমান আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের স্থলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন দণ্ডের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিলে ধর্ষণের শিকার এবং অভিযুক্তের ডিএনএ টেষ্ট বাধ্যতামূলক করার বিধান রেখেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেবিলে উপস্থাপন শুরু করা হয়। ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে শাস্তির উদ্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মধ্যে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটন সামাজিক গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ও সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের ধারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন অপরাধ দমনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এমতাবস্থায় আইনে সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের বিধান যুক্ত করে এই বিলটি আনা হয়েছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সংসদে আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, ২০২০ পাস করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী পাসের প্রস্তাব করেন বিলটি।
