Type to search

জাতীয় বাংলাদেশ

কলকাতা মিশনের কনস্যুলার অ্যাটাশে লাপাত্তা

প্রায় তিনমাস ধরে লাপাত্তা কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কনস্যুলার অ্যাটাশে আমিনুল হক। গত নভেম্বরে তিনি ভারত ত্যাগ করেছেন- এমনটা নিশ্চিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু তার বর্তমান অবস্থান কোথায়? সে সম্পর্কে এখনো ধোঁয়াশা। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আমিনুল ইউরোপের একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে তথ্য আসছে। তবে সেটা এখনো ভেরিফাই করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভিসা ইস্যুকারী কলকাতা মিশনের পাসপোর্ট-ভিসা তথা কনস্যুলার সেবার মূল দায়িত্ব ছিল আমিনুল হকের। বন্ধুমহলে ‘আমিনুল হক পলাশ’ নামে পরিচিত ওই সরকারি কর্মকর্তার মূল চাকরি দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থায়। সেখান থেকে ডেপুটেশনে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা মিশনে পদায়ন হয় তার। যোগদান করেন এপ্রিলে। এক মাসের মাথায় (৮ই মে- ২০২৪) মিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (লোকাল) হিসেবে ডিপ্লোমেটিক স্ট্যাটাস পান। সাধারণত এমন পোস্টিংয়ে একজন কর্মকর্তাকে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত রাখা হয়। কিন্তু কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে আমিনুল হককে দেশে ফেরার জরুরি আদেশ জারি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি সরকারের আদেশ তামিল করছেন এমন ধারণা দিয়ে যথানিয়মে মিশনের দায়িত্বভার ত্যাগ করে সহকর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন গত বছরের ৭ই নভেম্বর। কিন্তু না, আজ অবধি তিনি দেশে ফিরেননি!

মোবাইল বন্ধ, হোয়াটসঅ্যাপের নাম্বার পরিবর্তন, তবে ফেসবুকে সরব: আমিনুল হকের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোনটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তিনি হোয়াটসঅ্যাপের নাম্বার পরিবর্তন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি কেবলমাত্র ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে জানা গেছে। তবে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এখনো সচল রয়েছে এবং তিনি তাতেই সবচেয়ে বেশি সরব। সরকারের একটি সূত্রের দাবি, আমিনুল ৭ই নভেম্বর ভারত ত্যাগ করে নিয়ম অনুযায়ী ঢাকায় যোগদানের আগে ৬ দিনের প্রাপ্য ছুটি কাটাতে লন্ডনে যান। সেখান থেকে তিনি নতুন করে আরও ৭ দিনের অর্থাৎ ১৫ই নভেম্বর থেকে ২৩শে নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি বর্ধিতকরণের আবেদন করেন। কিন্তু সরকারের তরফে সেই ছুটির আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায় তিনি গা ঢাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি বৃটেনেই রয়েছেন এমন দাবি করে তার এক সহকর্মী বলেন, তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার টার্গেটে ফেসবুকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানবিরোধী নানা প্রচার-প্রচারণাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। তার ফেসবুকের পোস্টমর্টেম করে মানবজমিন সেই অভিযোগের খানিকটা সত্যতা পেয়েছে। অবশ্য অন্য একটি সূত্রের দাবি তিনি আগে থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই বিবেচনায় তার সরকারি চাকরি হয়। চাকরিতে বরাবরই বেপরোয়া ছিলেন তিনি। কলকাতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভিসা ইস্যু হওয়ার কারণে তিনি তদবির করে ওই মিশনে পোস্টিং নেন।

ক’মাসে ফেসবুকে তিনি যা লিখেছেন: ৩৬শে জুলাই খ্যাত ৫ই আগস্টের রক্তাক্ত পরিবর্তনের আগে থেকেই ফেসবুকে রয়েছেন ‘আমিনুল হক পলাশ’। এই নামেই তার আইডি। প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পুরো সময় খেলাধুলা এবং সামাজিক পোস্ট করেছেন তিনি। নভেম্বরে মিশনের দায়িত্বভার ত্যাগের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে নানা পোস্ট করছেন। গণ-অভ্যুত্থানের আগে তার সর্বশেষ পোস্ট ছিল ৬ই জুলাই। সেটাতে সরকারের জন্য হার্মফুল কিছু ছিল না। অবশ্য ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট করেন। যেটি তাকে ঢাকায় জরুরিভিত্তিতে ফেরানোর আদেশ জারির কারণ বলে অনুমান করেন অনেকে। ওই পোস্টে আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত ‘বঙ্গবন্ধু আবার যখন ফিরবেন’ কবিতাটির অংশবিশেষ রয়েছে। ১৬ই ডিসেম্বর শেখ মুজিবের আরেকটি ছবি সম্বলিত পোস্ট করেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। একইদিনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রল করে আরেকটি পোস্ট দেন। সেখানে তার্কিস একটি প্রচলিত বাণী উল্লেখ করা হয়। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় এমন- ‘যখন একজন জোকার প্রসাদে প্রবেশ করে, তখন সে রাজা হয় না। প্রাসাদটি একটি সার্কাসে পরিণত হয়।’ মূলত সেদিন থেকে তিনিই ড. ইউনূসকে নিয়ে ট্রলে নামেন নিজের স্বার্থ হাসিলে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশে বেশকিছু ঘটনা ঘটে। ওইদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের সময়ক্ষণ সম্পর্কে একটি ধারণা দেন।

একইদিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে সিআইডি, এনবিআর, দুদক, বিএফআইইউ’র সমন্বয়ে ‘মানি লন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানে গঠিত যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্তদলের কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেখ পরিবার ও ১০ শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার, কর, শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে ১১টি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। বিতর্কের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরে পোস্টটি ডিলিট করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, এটি মাহফুজ আলমের ব্যক্তিগত মতামত। এরসঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব ঘটনাকে উল্লেখ করে ১৭ই ডিসেম্বর আমিনুল হক পলাশ তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘গণভবন লুটপাট করা হয়েছে লাইভ ক্যামেরার সামনে। যেখানে শেখ হাসিনা গত প্রায় ১৬ বছর ছিলেন। ওয়ালটনের এসি ফ্রিজ, হাঁস, পাঙ্গাশ এবং আটপৌড়ে কিছু আসবাব ছাড়া আর কি হীরা-জহরত, মণি-মুক্তা পাওয়া গিয়েছে তা সবাই দেখেছে নিজের চোখেই।’ তিনি আরও লিখেন- ‘বাকি থাকলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর ফিনান্সিয়্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট। এগুলো চেক করা অল্প সময়ের ব্যাপার। রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল উপকরণ ব্যবহার করেও গত সাড়ে চার মাসে দেশবাসীর সামনে লক্ষ-কোটি টাকার চটকদার কোনো দুর্নীতির হিসাব কিংবা প্রমাণ হাজির করা যায় নাই। তাই গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের দেয়া হচ্ছে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার প্রস্তাব।’ ওই পোস্টে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘Debt will be paid in full’. যার বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায় ‘ঋণ সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হবে’। তিনি আরও বলেন- ‘কিচ্ছু বাকি রাখা হবে না।’ পোস্টটি ১ হাজার রিয়েক্ট ও ১০৮টি শেয়ার হয়েছে। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দেন। ফলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামি খালাস পান। হাইকোর্টের এই রায়কে উল্লেখ করে ১৮ই ডিসেম্বর একটি পোস্ট করেন পলাশ। সেখানে তিনি বলেন- ‘মুফতি হান্নানের প্রকাশ্য জবানবন্দি থাকা সত্ত্বেও আদালত নাকি কোনো সাক্ষ্য খুঁজে পায় নাই। তাই বিচার বাদ।’ ওইদিন একটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দেয়ায় পলাশ বলেন, ‘আজ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সকল শীর্ষ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। ‘উই আর লুকিং ফর শত্রুজ’ এখন আবার নতুন উদ্যোমে শত্রু খোঁজার লাইসেন্স পাইলেন।’

একই পোস্টে পলাশ বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের প্রগতিশীল সুশীল সমাজের একটা বড় অভিযোগ ছিল তারা বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। অথচ সুযোগ পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশের জন্মের আঁতুর ঘর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর পুড়িয়ে দিয়েছে হিংস্র শ্বাপদ গোষ্ঠী এবং তখন এই কথিত প্রগতিশীলদের মুখে কোনো আওয়াজ নাই। তিনি আরও লিখেন- বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলায় কাদের এলার্জি সেটা ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধেই মীমাংসিত। অতএব, ইনায় বিনায় মুক্তিযুদ্ধের কথা না বলে সরাসরি বিরোধী রাজনীতি করেন। দেখেন দেশের মানুষ কতোদিন সহ্য করে। লুঙ্গি খুলে লেংটা হয়ে মাথায় পাগড়ি বাইধা তো লাভ নাই! আপনাদের বারমুডা সবার কাছে দৃশ্যমান।

১৯শে ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে দেয়া একটি পোস্টে পলাশ বলেন, ‘উনারা কোনদিন জানি বলে বসেন, এই সরকার আসলে খেলনা সরকার, তাই আমরা যেমন খুশি তেমন খেলতেসি!’

২১শে ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন পলাশ। সেখানে তিনি বলেন, ‘উনার গোটা পঞ্চাশেক প্রতিষ্ঠান দিয়ে জনগণের কী কল্যাণ হইছে তা কি কেউ জানেন? নিদেন পক্ষে কতোজনের চাকরির ব্যবস্থা হইছে এসব প্রতিষ্ঠানে কিংবা কি কি কর্মসূচি উনারা বাস্তবায়ন করেছেন বা করছেন?’ ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেন- ‘এই যে ৫০ এর মতো প্রতিষ্ঠান। এগুলোর শীর্ষ পদগুলোয় কারা ছিল এতদিন বা এখন কারা আছে? অপারেশনাল কস্ট হিসাবে শত শত কোটি টাকা খরচ করে কাদের পালছেন উনি? কেন পালছেন? লসের পর লস দেয়ার পরেও কিংবা কোনো দৃশ্যমান কাজ না থাকা সত্ত্বেও কেন এইসব চালু আছে।’

২২শে ডিসেম্বর একটি পোস্টে সরকারের উদ্দেশ্য করে পলাশ লিখেন- ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন বানিয়ে  রাষ্ট্রের ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা দেয়া। গণভবন দখল করে জাদুঘর বানানো। ট্রাইবুন্যালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিচার শুরু। সারা দেশে মামলা বাণিজ্য করে শত শত কোটি টাকার লেনদেন। খুব বেশি দিনে বাকি নাই দেশের মানুষ ঠিকই বুঝবে কি মেটিকুলাস প্ল্যানের বলি তারা হইসে। আর এর বিচারও তারাই করবে।’ গত বছরের ২৯শে ডিসেম্বর ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা; মুজিববাদ বাঙালি-মুক্তির দর্শন’ লেখা সম্বলিত একটি কার্ড পোস্ট করেন পলাশ। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি বলেন, ‘যতবার হত্যা করো, জন্মাব আবার, দারুণ সূর্য হব, লিখব নতুন ইতিহাস’।

জুলাই ঘোষণাপত্রে সরকারের কোনো সম্পর্ক নাই বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। তার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯শে ডিসেম্বরের একটি ফেসবুক পোস্টে পলাশ লিখেন- কথিত জুলাই ঘোষণার প্রথম ডাক দিছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পদাধিকার বলে যে কিনা আবার শফিকুল আলমের বস! বুঝা বড় কঠিন হয়ে যাচ্ছে যে, কুকুর লেজ নাড়াচ্ছে নাকি লেজ কুকুরকে নাড়াচ্ছে!’ পরে শফিকুল আলম জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার। তার এই কথার প্রেক্ষিতে পলাশ বলেন, “সরকারের বড় পদে থেকে ‘গজনী’ হওয়া যাবে না।” অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে ‘গণশত্রু’ আখ্যা একটি কার্ড বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন পলাশ। ১৯শে জানুয়ারি করা ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন- ‘The clock is ticking. You have to pay back all of your sins.’ যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়- ‘ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করছে। তোমাদের সমস্ত পাপের প্রতিশোধ নেয়া হবে।’ সর্বশেষ ২৬শে জানুয়ারির এক ফেসবুক পোস্টে পলাশ লিখেন- “মার্কিন নীতি ১৮০ ডিগ্রি বদলায় না। তবে, এক নোটিশে ইউএসএইড’র সকল প্রকার সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়। বার্নিকাট, ডোনাল্ড লু-দের ফেরার রাস্তা দেখায় দেয়া হয়। তখন ‘ড্রিল বেবি, ড্রিল বলে’ আর চুক্তি স্বাক্ষরের নাটক করে মার্কেট পাওয়া যায় না। মরা গাছে কেউ পানি ঢালে না! ওভার অ্যান্ড আউট।”

-মানবজমিন

Translate »