Type to search

জাতীয় বাংলাদেশ

মানুষ নিরাপত্তা ও ভোটের অধিকার চায় : আলী রীয়াজ

সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, দেশে এমন একটা রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে যেটি জবাবদিহিমূলক হবে। বাংলাদেশের মানুষের বেশি কিছু চায় না। বাংলাদেশের মানুষ তার নিরাপত্তা চায়, ভোটের অধিকার চায়।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ডা. ওয়াজেদ খান এর প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বাংলাদেশে প্রেস ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের কো-চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আহমদ পাবলিশিং হাউজের প্রকাশক মেছবাহউদ্দিন আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন আদিত্য শাহীন।

আলী রীয়াজ বলেন, এ দেশে এমন একটা রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে যেটা জবাবদিহি মূলক হবে। যা কোন অবস্থায়ই স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠবে না। যেটা এমন ব্যবস্থা করবে যেন, নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হচ্ছে যার একটি লিখিত রূপ হিসেবে একটি জাতীয় সনদের কথা বলা হচ্ছে। সেটি কি? সেটা হচ্ছে সামাজিক চুক্তি। রাষ্ট্র একটা চুক্তি করবে তার নাগরিকদের সাথে। ফলে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত হবে। তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্র একটি জবাবদিহির মধ্যে যাবে। এই যায়গায় কোন ভিন্ন মত নেই।

আলী রীয়াজ বলেন, এমন একটি সনদ তৈরি করতে হবে যা সামাজিক চুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেটা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য দিক নির্দেশনাও দেবে। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের স¦প্ন। এটা বাংলাদেশের মানুষের নাগরিকদের স্বপ্ন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মনির হায়দার বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশের জনগণ বার বার বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তুু দুর্ভাগ্যক্রমে স্বপ্নগুলো ডাকাতি হয়ে গেছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষণ অনেক সময় দেখা গিয়েছিল কিন্তুু বাস্তবে আমরা তা ছুঁতে পারিনি।

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বপ্ন নতুন একটা পর্বে এসে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের স্বপ্নগুলো যদি আমরা বাস্তবে নিয়ে যেতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে বহুকালের জন্য আমাদের স্বপ্ন দেখার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। স্বপ্ন দেখার জন্য কোন চোখ এই রাষ্ট্রের থাকবে না। এইবারের স্বপ্নগুলোকে আর ডাকাতি হতে দেয়া যাবে না।

বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ব্রিটিশ ভারতে ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর উপমহাদেশে নিজ শাসন ব্যবস্থা কায়েমের বিষয়টি উঠে আসে। পরবর্তীতে এই আন্দোলন মোড় নেয় জাতিসত্তা ভিত্তিক পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দিকে। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভাগ হয় ভারত, পরে ৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধ। কিন্তু ২৪ এর আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এর মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সুযোগ এসেছে।

‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ এর বইয়ের লেখক ডা. ওয়াজেদ খান বলেন, এই বইটিতে বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান গণমানুষের দাবি প্রকাশিত হয়েছে।

-বাসস

Translate »