Type to search

জাতীয়

আজ শেষ হচ্ছে নিবন্ধন, হজের কোটা এখনো খালি ২৮ হাজার

প্রতিবছর হজের মৌসুম এলে হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের চাপে হিমমিশ অবস্থা হয় এজেন্টগুলোর। বহু মুসল্লি চেষ্টা তদবির করেও কোটার অভাবে হজে যেতে পারেন না। তবে দেশের ইতিহাসে এবছর এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটছে। তিন দফা হজ নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়লেও কোটা পূরণ হচ্ছে না। করোনা মহামারির পর এবারই বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ জনের পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ পেয়েছে।

তবে ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকার পরও ৭ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে হজে যাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। ব্যয়ের এই উল্লম্ফন অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে এবছর হজযাত্রা থেকে নিরুৎসাহিত করেছে। অনেকে মধ্যবিত্ত মুসলমান বহুদিন যাবত চার-পাঁচ লাখ টাকা যোগাড় করেও ব্যয়ের বিশাল বহর দেখে এবছর হজের নিয়ত বাতিল করেছেন। তার বদলে কেউ কেউ ওমরাহ পালন করছেন।

আজ ১৬ মার্চ শেষ হচ্ছে হজ নিবন্ধন। ইতিপূর্বে কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ৮ ফেব্রুয়ারির পর তিন দফা বাড়ানো হয়েছে হজ নিবন্ধনের মেয়াদ। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে গতকাল রাত  সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৯৯ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন।

কোটা পূরণে আরও ২৮ হাজার হজযাত্রীর প্রয়োজন। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করছেন। তুলে নিচ্ছেন জমা দেওয়া টাকাও। এদিকে গত বছরের তুলনায় হজের প্যাকেজ মূল্য এক লাফে দুই লাখ টাকা বেড়েছে। হজে খরচ বাড়ার অন্যতম কারণ বিমান ভাড়া।

এবিসিবি/এমআই

Translate »