Type to search

অপরাধ

সিলেটে রায়হান হত্যা: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিবিআই

জেলা প্রতিনিধিঃ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন (৩০) হত্যা মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে পিবিআইতে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মহিদুল ইসলামসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলেন নি।

এদিকে নিহত রায়হান উদ্দিনের মরদেহ পুনঃময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার জানান, মরদেহ কবর থেকে তোলার আবেদনের বিষয়টি জানতে পেরেছি।গত রোববার (১১ অক্টোবর) রায়হান নিহত হন। রায়হান উদ্দিন সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার ৩ মাসের এক মেয়ে রয়েছে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করতেন।

পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর অঞ্চলে গণপিটুনিতে রায়হান মারা যান। কিন্তু নিহত রায়হানের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হন। মারা যাওয়ার পর রায়হান উদ্দিনের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হাতের নখও তার ওপড়ানো ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যার অভিযোগ এনে মৃত্যুর স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত সোমবার (১২ অক্টোবর) এ অভিযোগে পুলিশের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সুপারিশে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ ৪জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, হারুনুর রশিদ ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই কুতুব আলী, এএসআই আশেক এলাহী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।

Translate »