Type to search

অপরাধ

কুমিল্লায় গার্মেন্টস কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩

ধর্ষণ-rape-এবিসিবি নিউজ-abcb news

জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় এক গার্মেন্টসকর্মী (১৯) প্রেমিকের সহায়তায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মো. রুবেল, মো. শামিম ও জাকির হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করেছে।

এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক আমান ওরফে রাফি পলাতক রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায়। আটক তিন ধর্ষকের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, গত ৫ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঐ গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে শাকপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আমান ওরফে রাফির (২১) পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে রাফি ভিকটিমকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলে। এতে ভিকটিম বরুড়া হতে একটি সিএনজিযোগে রাফির বাড়িতে যায়। এ সময় রাফির মা ভিকটিমকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করে এবং একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ভিকটিমকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এতে ভিকটিম নিরুপায় হয়ে ঐ সিএনজিযোগে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে ভিকটিম শাকপুর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার গেটের সামনে পৌঁছালে ঐ গ্রামের মো. শামিম (২৩), জাকির হোসেন (৩৫) সিএনজির গতিরোধ করে এবং ভিকটিম ও সিএনজি চালককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ঐ গ্রামের একটি বাগান বাড়ির খোলা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে মো. রুবেল (২৭) আগে থেকেই অবস্থান করছিল। তারা সিএনজি চালককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিএনজিসহ বাগান বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। পরে শামিম, রুবেল ও জাকির হোসেন রাত ১২টা পর্যন্ত ভিকটিমকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণের পর সিএনজিতে উঠিয়ে দেয়। সিএনজিচালক রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভিকটিমকে বরুড়ার ভাউকসার রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ভিকটিম বরুড়া থানায় গিয়ে বুধবার ভোর রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশের টিম ভিকটিমকে বহনকারী সিএনজির চালক মো. শাকিলকে সিএনজিসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যমতে ঐ এলাকায় বুধবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. রুবেল, মো. শামিম ও জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে।

বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামিরা ভিকটিমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং ধর্ষণের এ ঘটনা সংঘটিত করার ক্ষেত্রে ভিকটিমের প্রেমিক আমান ওরফে রাফির ইন্ধন ছিল বলে স্বীকার করেছে। রাফিকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »