রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধর্ষককে ছেড়ে দেয়ায় গৃহবধূ আত্মহত্যা, কাউন্সিলসহ আটক ৩
ওই গৃহবধূ সখিনা বেগম (৩৫) তার বাড়ি গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায় এবং তার স্বামীর নাম কামাল হোসেন। চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন তিনি।
আটক তিনজন হচ্ছেন- কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশু, মেরাজুল ইসলাম ও আকবর আলী। আর ধর্ষণে অভিযুক্ত মফিজুল ইসলামের বাবার নাম আতাউর রহমান। প্রত্যেকের বাড়ি ঘিয়াপুকুর এলাকায়। আটক তিনজনকে বৃহস্পতিবার ১০ (সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার রাতে কাউন্সিলর মফিজুল ইসলামকে ছেড়ে দেয়ার পর থেকে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত বুধবার রাতে মফিজুল ইসলাম ২ সন্তানের মা সখিনা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশী মেরাজুল ইসলাম ও আকবর আলী মফিজুলকে ধরে কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু উল্টো ওই নারীকেই বকাঝকা করেকাউন্সিলর মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এরপর গৃহবধূ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন।
কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ জানান, রাতে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার কারণে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। সে কারণে পৌর কাউন্সিলরসহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে। আপাতত তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে । এ মামলায় কারাগারে পাঠানো ৩জনসহ মোট ৪জনকে আসামি করা হবে। প্রধান আসামি ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক আছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।