Type to search

অপরাধ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, চিকিৎসা নিতেও বাধা

জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী এলাকায় বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) রাতে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ধর্ষণের পর গুরুতর আহত ওই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই ছাত্রীর মা, বোন ও দুলাভাই আহত হয়েছে। পরে আক্রান্ত পরিবার ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া থানার পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, সে স্থানীয় বসুরচর পাঁচগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল। এ সময় স্থানীয় লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ ইসলাম (১৮) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। তাদের কাছ থেকে বাঁচতে চিৎকার করলেও পাশের বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে গান বাজায় শুনতে পায়নি কেউ। ধর্ষণ শেষে ধর্ষকেরা তাকে বসতভিটায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে পরিবারকে ঘটনা জানায় সে।

স্থানীয়রা জানায়, গুরুতর আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে আকাশ ইসলাম ও তার স্বজনরা হামলা চালায়। এ সময় ওই ভুক্তভোগী পরিবারের একজন ৯৯৯ এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে।

গজারিয়া থানার এসআই মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারা। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা ২জনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দলবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও দুঃখজনক। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের ৩ আত্মীয়-স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীকে শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

Translate »