Type to search

অপরাধ

বাংলাদেশকে রুট বানিয়ে সাপের বিষ পাচার

বাংলাদেশকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সাপের বিষ পাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিক্রির বৈধতা না থাকায় বৈশ্বিক মার্কেটই টার্গেট ছিল কারবারিদের। গাজীপুর থেকে এমনই একটি চক্রের মূলহোতাসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা মামুন তালুকদার (৫১) ও তার সহযোগী মামুন (৩৩)। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বড় লকার ও ছয়টি কাচের কৌটায় সংরক্ষিত অবস্থায় এ বিষ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার।

সিআইডি বলছে, বাংলাদেশে সাপের বিষ ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো বৈধতা নেই। মূলত সাপের বিষ পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল পাচারকারীরা। প্রত্যেকটি বোতলের গায়ে লেখা রয়েছে- COBRA Snake Poison of France, Red Dragon Company, Cobra Code No-80975, Made in France.

রেজাউল হায়দার বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইডি ঢাকা মেট্রোর একটি টিম গাজীপুরের বাসন থানা এলাকা থেকে সাপের বিষ ক্রয়-বিক্রয় ও পাচারকারী একটি চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে, এ রকম আরও কয়েকটি বড় ধরনের পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাপের বিষ পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মামুন তালুকদার ও তার সহযোগী মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।

রেজাউল হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সাপের বিষ পাচার হয়। এটার বৈশ্বিক মার্কেট রয়েছে, তবে বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই। দেশের বাইরে থেকে এ সাপের বিষ কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে এসেছে। দু-তিন হাত ঘুরে হয়তো এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হতো। সাপের বিষ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালে এটি ব্যবহারের বৈধতা নেই। যে কারণে এটি বাংলাদেশে ব্যবহারের সুযোগও নেই। আমরা এখনও নিশ্চিত না যে, এটা ঠিক কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এটা এলসির মাধ্যমে আনা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল হায়দার বলেন, পুরো তদন্ত শেষ হলে এটা স্পষ্ট হবে কে বা কারা কোন জায়গা থেকে আমদানির পর এটা পাচার করছিল। ইতোমধ্যে কয়েকটি চালান বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

প্রসঙ্গত, ১৭ সেপ্টেম্বর এই চক্রের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রটির সঙ্গে আরও সাত-আটজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। সাপের বিষ লেনদেন ক্রয়-বিক্রয় ও পাচার আইনত অপরাধ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করাসহ চক্রের অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Translate »