Type to search

অপরাধ

চাঁদপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আইনজীবীর কামরায় ধর্ষণ, প্রেমিকসহ আটক ২

জেলা প্রতিনিধিঃ ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আইনজীবীর কামরায় ডেকে এনে আইনজীবীর সহকারীর সহায়তায় এক তরুণীকে প্রেমিক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় প্রেমিক দিদার ও আইনজীবী সহকারী মুন্নাকে পুলিশ শুক্রবার (২১আগস্ট) আটক করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ আগস্ট দুপুর একটায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পেছনে এস. এম করিমের দ্বিতীয় তলায় এ্যাডভোকেট কেফায়েত উল্লাহর কামরায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার ২ জনকে আটক করেছে বলে জানায় পুলিশ।

আটককৃত হলো চাঁদপুর জেলার ফতুল্লা থানার কায়েমপুরের মৃত শরীফ সরদারের ছেলে আইনজীবীর মুহুরী মুন্না (২৩)। হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের ছেলে প্রেমিক দিদার (২২)।

ঘটনার বিবরণীতে তরুণীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিক বলেন, তল্লা বড় মসজিদ এলাকায় বসবাসকারী তরুণীর সাথে ধর্ষক দিদারের (২২) ফেইসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। এর সূত্র ধরে ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিংসহ মোবাইল ফোনে তারা নিয়মিত যোগাযোগ করতো। গত ১৫ আগস্ট প্রেমিক দিদার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তরুণীকে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর কামরায় ডেকে এনে আইনজীবীর সহকারী মুন্নার সহযোগিতায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের ঘটনায় সহোযোগিতা করার অভিযোগ এনে আইনজীবীর সহকারী মুন্না ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে দিদার হোসেনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) দিদারকে এবং আইনজীবীর সহকারী মুন্নাকে আটক করে। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে জানান তিনি।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, আইনজীবীর সহকারীর (মুহুরী) সহায়তায় আইনজীবীর কামরায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনজীবীর সহকারীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ ফোনে বলেন, আটককৃত মুন্না তার সহোযোগি হিসেবে কাজ করতো সত্যি। তবে এ ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

Translate »