চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শ্রবণপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অটোবাইক চালক ও সিএনজি অটোরিকশাচালকসহ ছয়জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি উপজেলার ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শ্রবণপ্রতিবন্ধী কিশোরীটি গত ১১ জানুয়ারি বিকালে বুকের ব্যথার ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে অটোবাইক চালক টিটু (২০) কৌশলে তার অটোবাইকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে কিশোরীকে।

এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হয়ে গেলে অন্য সহযোগীরা পালাক্রমে ২য়বার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এলাকায় এবং সর্বশেষ পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ওই ভুক্তভোগীকে বাগানের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় কিশোরীকে। বাড়ি ফিরে ওই কিশোরী পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা জানায়। এরপর এলাকার কিছু প্রভাবশালী স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে।

গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায়। কিশোরী ও তার পরিবারের বক্তব্যের সূত্র ধরে অভিযানে বের হয় পুলিশ।

রাতভর অভিযান চালিয়ে জামাল হোসেনের ছেলে অটোবাইকচালক টিটু (২০), একই গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ কালুর ছেলে মিজানুর রহমান রিপন (৪৫), আইটপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে শিপন (২৫) এবং মঙ্গলবার বিকালে কামতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে চৌকিদার আ. মালেককে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। আটককৃত প্রথম ৩জন সিএনজি অটোরিকশাচালক।

পরে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে ঘটনার শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে ঘটনাটি শোনার পর রাতেই অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত তিন জন এবং মঙ্গলবার বিকালে আরও একজনসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে।