Type to search

অপরাধ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক রাতে ৩ খুন

জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৮ মামলার আসামির তোহিদের হাতে সুবেদার (অবঃ) মজিবুল হকের ছেলে নুর মোস্তফা বজলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আলাদা স্থানে আরও দুইজনের খুনের তথ্য পাওয়া গেছে। এতে করে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এলাকায়।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২ নম্বর বারৈয়ঢালা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম লালা নগরের মৌলভীপাড়ায় মোস্তফাকে খুন করা হয়। অভিযুক্ত ১৮টি মামলার আসামি ডাকাত সর্দার তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তৌহিদ্যা নোয়াপুকুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

জানা গেছে, আশেপাশের দোকানে থাকা লোকজন বুঝে উঠার আগেই তৌহিদ্যা প্রথমে বজলের বুকে গুলি চালায়। সন্ত্রাসীরা তার বুকের নিচে গুলি করে। এরপর তৌহিদ্যাসহ ২ জনে মিলে বজলের ডান হাতের কবজি কেটে আলাদা করে ফেলে। এলাকার লোক এগিয়ে আসার আগেই তার পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী।

অপরদিকে একই রাতে উপজেলার ১০ নম্বর সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া দবগার দক্ষিণে গরইতল এলাকায় প্রতিদিনের মতো দোকানদারি শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন (৩২)। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন আলমগীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আলমগীর স্থানীয় মৃত আফাজ উল্লাহর ছেলে।

এ ছাড়া একই রাতে ১১টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমূল এলাকার তিন নম্বর সমাজের লোকনাথ মন্দিরের পাশে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মো. ইমন (১৫) নামে এক কিশোরকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ব্যাডমিন্টন সহপাঠি সুজন (১৫), ফারুক হোসেন (১৬) ও মুন্না (১৭)। পরে স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা যায়।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সারারাত অভিযান চালিয়ে ইমনের ৩ সহপাঠিকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, সমাজ সর্দার মোস্তফা হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৌহিদ্যাসহ এবং আলমগীর হত্যাকারী সবাইকে দ্রুত আটক করার চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া ইমনকে হত্যার দায়ে তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এবিসিবি/এমআই

Translate »