মাদারীপুরের শিবচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, আটক ২
জেলা প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের শিবচরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতেই ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শিবচর থানায় ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই শিবচর থানা পুলিশ ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে আঁখি আক্তার (২৫) ও অটোরিকশাচালক সোহাগ হাওলাদার (৩৫)কে আটক করেছে।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্লা (৩২), এসকান (৩৭), সোহেল (৩৫)। রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই ভুক্তভোগী গৃহবূধকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাঁচ্চর সোনার বাংলা প্লাজার সামনে থেকে ১ নারীসহ ৫ ব্যক্তি ওই গৃহবধূকে একটি ইজিবাইকে জোর করে উঠিয়ে পাঁচ্চর বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে একটি ১ তলা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে বিকেল পর্যন্ত ২ দফায় তাকে ধর্ষণ করে একাধিক ব্যক্তি। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে আবার ধর্ষণের জন্য অন্যত্র নেয়ার সময় ওই ভুক্তভোগী কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইজি বাইকটির পথরোধ করে। এসময় ইজিবাইকে থাকা আসামিরা পালিয়ে গেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: মিরাজ হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও শিবচর থানা পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, আটককৃতরা আখি আক্তার উপজেলার রাজারচর মোল্যাকান্দি এলাকার ওই ভুক্তভোগীর পরিচিত। আখি আক্তারের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তিনি শিবচর পৌর এলাকায় বসবাস করার সময় ৩ মাস আগে ভুক্তভোগী ওই নারীকে দেহ ব্যবসার প্রস্তাব দেন। এ ঘটনা জানতে পেরে ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যরা আখি আক্তারকে মারধর করেন। এরপর স্থান ত্যাগ করে বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে বাসা ভাড়া নেন আখি। সেখানে তিনি সুবল মন্ডল ওরফে সুমন মোল্লার সাথে থাকতেন।