ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি নাবিকদের ফেরানো হবে : পররাষ্ট্র সচিব
ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিককে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিগিগিরই ফেরানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
ফেরানোর অগ্রগতি জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আমাদের যারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আছে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের প্রত্যাশা, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদের শিগগিরই ফিরিয়ে আনতে পারব।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ৭৮ নাবিকসহ দুটি ট্রলার জব্দ করে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সোমবার ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের নিয়ে যায়।
জব্দ দুটি নৌযান হলো এফভি লায়লা২ ও এফবি মেঘনা৫। এফভি লায়লা ২এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং। এফভি মেঘনা৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রসঙ্গে জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আমাদের যে অলোচনা হয়েছে সেখানে আমরা আমাদের বক্তব্য তাদের বলেছি। ভারতে বসে সে যে বক্তব্য দিচ্ছে সেটা আমাদের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার পছন্দ করছে না। এটা যাতে তাকে জানানো হয়। তিনি উত্তরে যেটা বলেছেন, সেটি ভারতে গিয়েও বলেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভারতে উপস্থিতি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না। শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি বিষয় এবং এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেরও বিষয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যখন এই বিষয়টি আসবে তার পরবর্তী সময়ে আমরা প্রক্রিয়াটা শুরু করব।
ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট এক দশক পর আগামী ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সময় এটিই তার প্রথম সফর। প্রেসিডেন্টের সফরে দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হবে বলে আশা করছেন পররাষ্ট্র সচিব। ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোর্তাকে স্বাগত জানাবেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ছাড়াও ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি। পূর্ব তিমুরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এরপর ১০ বছরের ব্যবধানে এবার তার বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর হবে।
-মানবজমিন