Type to search

বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে পারে আমেরিকা’

বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক সমকাল।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ওয়াশিংটন ব্যাপকভিত্তিক অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাশিয়া। এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে দেশটি।

শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে এসব আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

বিবৃতির বরাত দিয়ে খবরটিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘পশ্চিমাদের কাছে অনাকাঙ্খিত’। তাই বাইডেন প্রশাসনের টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ আরও কয়েকটি চাপ প্রয়োগের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে ওয়াশিংটন।

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘শেষ বেলায় আতঙ্কে অর্ধশত প্রার্থী’। খবরটিতে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ দিনে এসেও প্রার্থীদের অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন।

এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা দুই ধরনের আতঙ্কে রয়েছেন বলে খবরে দাবি করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, একদিকে জোট, শরিক ও মিত্রদের কারণে বেশ কিছু আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের কপাল পুড়বে।

অন্যদিকে, যারা শেষ পর্যন্ত ভোটের পাঠে থাকবেন, তারাও চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না। কারণ বেশিভাগ আসনেই তাদের বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে রয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

এসব নানা শঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে আজকেই ভোটের সব সমীকরণ এবং হিসাব-নিকাশ মিলবে বলে খবরে বলা হয়েছে।

একই বিষয়ে প্রধান শিরোনাম প্রকাশ করেছে দৈনিক সংবাদ।

‘প্রত্যাহার শেষ আজ, স্পষ্ট হবে জোট ও ভোটের সমীকরণ’ শিরোনামের খবরটিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ কোন দল কতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছে এবং কতটি আসনে ছাড় দেওয়া দিচ্ছে, রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির সুবিধা নিয়ে জয়লাভ করা ১৪-দলীয় জোটের শরিকরা আগের মতোই সুবিধা চাইছে।

এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবার অল্পকিছু আসনে ছাড় দিতে রাজি হলেও তা আগেভাগে প্রকাশ করতে চাইছে না।

তাছাড়া ছাড় দেওয়া আসনগুলোতে নৌকার প্রার্থী সরিয়ে নিলেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কোন দায়িত্ব নিবে না বলেও খবরে বলা হয়েছে।

‘কিংস পার্টিগুলোও’ সন্তুষ্ট হতে পারছে না- শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো।

খবরে বলা হয়েছে, বিএনএমসহ ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত অন্য দলগুলো যেমন সুপ্রিম পার্টি, তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনপির জোট ছেড়ে আসা কল্যাণ পার্টির কিছু নেতাকে জয়ী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তাঁদের ভোট করার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতাও থাকবে। তবে এসব নেতার আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানোর চিন্তা নেই।

সরকারের এ ধরনের অবস্থান নিয়ে কিংস পার্টিগুলোও সন্তুষ্ট হতে পারছে না। এটি এখন এসব দলের কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে।

খবরটিতে আরও বলা হয়েছে, কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্‌ মো. আবু জাফর শনিবার তাঁর নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের মধুখালীতে দলের বর্ধিত সভা করেন।

সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, এমন আশ্বাসে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

এরপরও যদি দেখেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না বা নির্বাচনের পরিবেশ নেই, তাহলে বিএনএম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।

বিজয় মিছিলে বড় জমায়েত বিএনপির, কাল হরতাল’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ।

খবরে বলা হয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের অংশগ্রহণে এটি বড় জমায়েতে পরিণত হয়। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ পণ্ডের পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রথম কর্মসূচি করল বিএনপি। এদিনও কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল।

৪ দিন বিরতির পর আগামীকাল সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশও একই দিন একই সময়ে হরতাল ডেকেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ-জাপার আসন সমঝোতা নিয়ে রাত পর্যন্ত নাটকীয়তা’- শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক।

এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির (জাপা) আসন সমঝোতার বিষয়টি ঝুলে গেছে। কয়েক দফায় দুই পক্ষের বৈঠকেও শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি।

শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ রবিবার শেষদিনে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে জাপা।

গত শুক্রবার বৈঠকে জাপাকে ২৬টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয় আওয়ামী লীগ। তবে সেই ২৬ জনের তালিকায় জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম নেই। যার কারণে জাপা ২৬ জনের তালিকা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে খবরে উঠে এসেছে।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুর দুইটা থেকে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলটির কেন্দ্রীয় প্রায় সকল নেতা এবং বর্তমান এমপিরা গুলশানে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাসায় বৈঠকে বসেন।

বৈঠকটি গভীর রাত পর্যন্ত চলে। কিন্তু বৈঠক থেকে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত না আসায় সমঝোতার বিষয়টি আবারও ঝুলে গেছে।

একই বিষয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরের শিরোনাম ‘প্রত্যাহারের চিঠি প্রস্তুত জাপার’।

খবরে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে দোদুল্যমান অবস্থায় পড়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। শনিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকেও আসন সমঝোতা হয়নি। যে কারণে জাপা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে পারে। প্রত্যাহারের চিঠি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম ‘AL firm at 26, JP wants at least 5 more’.

খবরটিতে বলা হয়েছে যে, আসন সমঝোতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির রোববারের বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি। জাতীয় পার্টিকে ২৬টির বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এ অবস্থায় আরও অন্তত পাঁচটি আসন দেওয়া না হলে জাতীয় পার্টি আগামী ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে।

আরেক ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরের শিরোনাম ‘How slow Chinese loans lead to high costs’.

ঋণচুক্তি ও অর্থছাড় বিলম্বের কারণে বাংলাদেশে কীভাবে চীনা অর্থায়নের প্রকল্পগুলোর ব্যয় বাড়ছে, সেটি এই খবরে তুলে ধরা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সরকার থেকে সরকারের (জিটুজি) পর্যায়ে চুক্তির একটি প্রকল্প: ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্ট’ ২০১৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ একনেক- এর অনুমোদন পায়।

এ প্রকল্পে বাজেট থেকে বরাদ্দ রাখা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের অর্থায়ন চুক্তিতে চায়না এক্সিম ব্যাংক ১.১ বিলিয়ন ডলার বা ৯ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন দেয়। ব্যয়ের বাকি অংশ নির্বাহ করবে বাংলাদেশ।

রোববার দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে, ‘২০২২-২৩ অর্থবছর: সরকারের ঋণ পরিশোধে ব্যয় ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি’।

খবরে বলা হয়েছে, সরকারের দেশী-বিদেশী ঋণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় (ডেবট সার্ভিসিং কস্ট)।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ২৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন (প্রায় ২ হাজার ৩৩২ কোটি) ডলারের বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধে ব্যয় ৩৮৮ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে, যা টাকার অংকে ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধে ব্যয় ৩৮৮ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে, যা টাকার অংকে ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

আইএমএফের বরাত দিয়ে খবরটিতে আরও বলা হয়েছে যে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৬৬ কোটি ডলারে। এ সময় সরকারের ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৩৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

এর মধ্যে বিদেশী ঋণ পরিশোধে ব্যয় ছিল ৩৮৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে (২০২১-২২ অর্থবছর) এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২১০ কোটি ডলার।-বিবিসি

এবিসিবি/এমআই

Translate »