দেশে করোনা রোগী ৪ লাখ ছাড়াল : আরও ১৫ জনের মৃত্যু
দুই মাসে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৪৩৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ২৫১ জনে।
এই সময়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ হাজার ৮১৮ জনে। বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন হয়েছে।
সোমবার প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১১টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। ১০ জন ঢাকা বিভাগের এবং ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৮১৮ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৮০ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৩৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ১ হাজার ৫৪৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭২৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩২১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৫৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৬৪ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৮ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪২ জন সিলেট বিভাগের, ২৬১ জন রংপুর বিভাগের ও ১২১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিচারে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ১৮তম স্থানে আছে; আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ১১ লাখ ৫৪ হাজারের ঘরে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।