Type to search

জাতীয় বাংলাদেশ

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও এই মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ন্যায়বিচার পাননি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আগেই এই সনদে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফর করতে পারেন। সেই সফরের আগে গুমবিরোধী সনদে যুক্ততার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে কোনো আপত্তি ছাড়াই গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গুমবিরোধী সনদে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চিঠি জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরে পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ। সনদটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের, তাই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব চিঠিটি জেনেভায় মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরে পাঠাবেন।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাত শর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ গুমের আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হচ্ছে। এখন আমরা বিচার পাওয়ার আশা রাখছি। আশা করি, সরকার এখন একটি কমিশন করে সবগুলো গুমের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করবে।’

-প্রথম আলো

Translate »