Type to search

Lead Story কমিউনিটি বাংলাদেশ

দুবাইয়ে থাকা সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন বাংলাদেশীরা

‘দুবাইয়ে থাকা সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন বাংলাদেশীরা’ বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম। এই খবরে বলা হয়,  দুবাইয়ে থাকা অফশোর সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন বাংলাদেশীরা। এজন্য সেখান থেকে প্রপার্টি কেনাবেচার ওয়েবসাইটগুলোয় বিজ্ঞাপনও দেয়া হচ্ছে বলে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ‌বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে উঠে এসেছে।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলকে (সিআইসি) বিষয়টি অবহিত করেছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে এনবিআরকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত সম্পদ ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় সেগুলো বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে।

আবার অনেকেই আয়কর নথিতে এসব সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএফআইইউ-প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম বলেন, “দেশে-বিদেশে থাকা বাংলাদেশীদের অপ্রদর্শিত সম্পদ অনুসন্ধানে আমাদের একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। দেশে থাকা অনেক সম্পদ আমরা এরই মধ্যে তদন্তের আওতায় নিয়ে এসেছি”।

‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুর্নীতি’। যুগান্তরের এই খবরে বলা হয়, দেশে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দুর্নীতি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির স্কোরে আরও পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৩। এ স্কোর ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ১৮০টি দেশের মধ্যে ২০২৪ সালে অধঃক্রম অনুযায়ী (খারাপ থেকে ভালো) বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। সূচকের উচ্চক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) অবস্থান ১৫১-তে নেমেছে। অর্থাৎ দুর্নীতি মূল্যায়নের তিনটি সূচকই বলছে, দুর্নীতি বাড়ছে।

রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়, দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ। জার্মানভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআই-এর দুর্নীতির ধারণাসূচক (করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স বা সিপিআই)-২০২৪ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বে মঙ্গলবার একযোগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এদিন বাংলাদেশে টিআই-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিআইবি নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তার মতে, ৫ আগস্টের পর দেশে চাঁদাবাজি চলছে। তবে ব্যানারের পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া দেশ থেকে অর্থ পাচারের অন্যতম গন্তব্য ভারত। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের এ অবস্থান এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। এছাড়া বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দক্ষিণ সুদান এবং সবচেয়ে কম ডেনমার্ক। দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে টিআই। এগুলো হলো-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দুদককে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া এবং অবাধ গণমাধ্যম ও সক্রিয় নাগরিক সমাজ বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশের অবস্থান : টিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম। আগের বছর যা ছিল দশম। বাংলাদেশের চার ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কারণ এ দেশে দুর্নীতি কমেছে, তা নয়। বরং অবস্থা খারাপ হয়েছে। গত বছর বেশি নম্বর পেয়েও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পেছনে। এ বছর কম নম্বর পেয়েও বাংলাদেশ ৪ ধাপ এগিয়েছে। এর কারণ হলো-অন্যান্য কয়েকটি দেশের অবস্থান খারাপ হয়েছে। ফলে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়েছে। এতে বাংলাদেশ সামনে এগিয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ আগের বছরের চেয়ে নম্বর আরও কম পেয়েছে। অন্যদিকে উচ্চক্রম অনুসারে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়েছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে আলোচ্য বছরে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম। ২০২৩ সালে যা ছিল ১৪৯তম। একই স্কোর নিয়ে তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অবস্থানে কঙ্গো ও ইরান। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম। এর আগে রয়েছে সিরিয়া, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়া।

-মানবজমিন

Translate »