Type to search

অর্থ ও বাণিজ্য বাংলাদেশ

ডলার নিয়ে খোলাবাজারে লুকোচুরি

ডলার নিয়ে খোলাবাজারে লুকোচুরি– মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় অবস্থিত একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে গতকাল দুপুরে ক্রেতা হিসেবে ডলার কিনতে গেলে বিক্রয়কর্মীরা জানান, ডলার নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির বাইরে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডলার পাওয়ার প্রস্তাব মেলে।

সোহেল নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ভেতরে নাই বললেও আমি ম্যানেজ করে দিতে পারবো। প্রতি ডলার এক দাম ১২৪ টাকা। যত লাগবে তত দেয়া যাবে। এ চিত্র কেবল ওই মানি এক্সচেঞ্জের নয়। মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল, গুলশানসহ রাজধানীর অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানই ডলার নিয়ে এ রকম লুকোচুরি খেলছে।

ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের পরদিনই ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত প্রতি ডলার বিক্রি করছেন তারা।

অন্যদিকে, কেউ বিক্রি করতে গেলে দাম কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ ডলারের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

একই প্রসঙ্গে নয়া দিগন্ত শিরোনাম করেছে ডলারের বাজারে অস্থিরতা। তারা বলছে নতুন পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারিত হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

গতকাল এক লাফে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২৫ টাকা উঠে গেছে। তবে কোথাও কোথাও এ দরেও ডলার পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে আমদানিতেও ডলারের দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

আগাম ডলার কিনতে ব্যাংকভেদে ১২৮ থেকে ১২৯ টাকা উঠে গেছে। যদিও এ দর নিয়মিত দর নয়। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বাজারে এমনিতে ডলার সঙ্কট চলছে, এর ওপর নতুন দর চালু হওয়ায় গ্রাহকদের মাঝেও অস্থিরতা বিরাজ করছে।

PM orders stock listing of state companies – ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আটকে ছিল।

বৃহস্পতিবার একনেকের এক বৈঠকে অর্থ বিভাগকে এ নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থ বিভাগ এখন বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত করবে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে যেতে পারে এবং এর একটা তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানান পরিকল্পনা সচিব।

আর পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন কোম্পানিগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করার লক্ষ্যেই তার এমন সিদ্ধান্ত।

পড়েছে ৪৫ হাজার ৩৬২টি। ভোট পড়ার হার ১৮.৪৬ শতাংশ। জাতীয় সংসদের মাত্র চার মাস পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমেছে প্রায় এক লাখ ৯৩ হাজার। জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ১৪টি উপজেলায় ২৫ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়েছে। আরও ১৫টি উপজেলায় ২৬-৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

প্রথম ধাপে যে ১৩৯টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেগুলোতে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৬.১০ শতাংশ। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪১.৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত সংসদের তুলনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়। এবার উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে উলটো চিত্র দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কী ভোটকেন্দ্রে যাননি?-বিবিসি

এবিসিবি/এমআই

Translate »