Type to search

বাংলাদেশ

একদিনের ঝটিকা সফরে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রীংলা

বাংলাদেশ ডেস্ক: একদিনের  ঝটিকা  সফরে ঢাকায়  এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ একটি বিমানে তিনি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সফরকালে শ্রিংলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের।
এ সফরের ব্যাপারে ভারত বা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু বলা হয়নি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পে চীনের বিশাল বিনিয়োগ, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ- এসব ইস্যুকে সামনে রেখেই  হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার এই সফর। অনলাইন দ্য হিন্দুতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিস্তা নির্ভর সেচ বা কৃষি প্রকল্পে চীনের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার সহায়তা পেতে যাচ্ছে ঢাকা। শ্রিংলার সফরে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে । ভারতের পররাষ্ট্র সচীবের এ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। মহামারীর মধ্যে শ্রিংলার আকস্মিক এ সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশে চীনের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আলোচনার মধ্যে শ্রিংলার এ সফর হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় যৌথভাবে ভারতও করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে টিকা দিয়ে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে গেছে। চীন বাংলাদেশে টিকার পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিলে দিল্লির ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ অবশ্য চীনের টিকার পরীক্ষার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে।

পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন। এ কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে তার আগ্রহ প্রবল।

বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটের শুরুর দিকে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে সমালোচনা হয়েছিল। ওই সময় শ্রিংলা দিল্লি গিয়ে নীতিনির্ধারকদের মতের কিছুটা পরিবর্তনে সমর্থ হন।

সে কারণে ভারত এখন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তাদের রাখাইন রাজ্যে ফেরত পাঠানোকে সমর্থন করছে। এসব কারণে শ্রিংলার সঙ্গে ঢাকার নীতিনির্ধারকদের একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

একে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে সক্রিয় হয়েছে দিল্লি।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, শ্রিংলার সফরের ফলাফলের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দু’দেশের তরফে স্পষ্ট করে বিস্তারিত বলা হতে পারে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহযোগিতার পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এ সফরে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

Translate »