অস্ট্রেলিয়ায় বাধ্যতামূলক হচ্ছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন

অস্ট্রেলিয়ার আড়াই কোটি নাগরিকের জন্য করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এদিকে এ বছরের মধ্যেই ভারতীয়রা অক্সফোর্ডের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনা কোভিড-১৯ টিকা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাস টিকার চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে ব্রাজিল।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সম্ভাব্য টিকার জন্য অস্ট্রেলিয়া চুক্তি করেছে। চুক্তির পর মরিসন জানান, ‘করোনা টিকা ততটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, যতটা সম্ভব আপনি এটি তৈরি করতে পারবেন। করোনাভাইরাস চিকিত্সার ভিত্তিতে যেকোনো টিকার জন্য সর্বদা ছাড় রয়েছে, তবে এটাই একমাত্র ভিত্তি হওয়া উচিত।’ অস্ট্রেলিয়ার সরকার ধারণা করছে, দেশ থেকে করোনা নির্মূলে জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশকে প্রতিরোধী হতে হবে। মরিসন আরো জানান, ‘অস্ট্রেলিয়াকে স্বাভাবিক করতে হলে আমাদের সর্বাধিক বিস্তৃত এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন হবে। অস্ট্রেলিয়া জনগনের বিনা মূল্যেই টিকা দেবে। বর্তমানে শিশুদের টিকা বাধ্যতামূলক করেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্ডারগার্টেনে শিশুদের ভর্তি হতে হলে ধনুষ্টঙ্কার ও পোলিও টিকা বাধ্যতামূলক।
এ বছরের মধ্যেই ভারতীয়রা অক্সফোর্ডের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যে টিকা উৎপাদন ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানও সহযোগী হিসেবে রয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটি অব ইন্ডিয়ার (এসআইই) কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা টাইমস অব ইন্ডিয়া বুধবার (১৯ আগস্ট) এই খবর দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনকার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অক্সফোর্ডের টিকাটি উৎপাদন করবে ভারতের পুনেভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান। সেরাম ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা জানান, ‘যদি টিকাটি ভারতে উৎপাদনের অনুমোদন পায়, তার মানে হলো টিকাটি দেওয়া যাবে। কবে নাগাত টিকাটি অনুমোদন পাবে এভাবে দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় যেমন সাফল্য মিলতে পারে, তেমনই ব্যর্থ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।’
এদিকে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি করোনার টিকার চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে ব্রাজিল। দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এক বিবৃতিতে এ সংবাদ জানায়। করোনাভাইরাসে পর্যুদস্ত ব্রাজিলে পরীক্ষার জন্য এটি চতুর্থ টিকার অনুমোদন। অ্যাস্ট্রাজেনকার সঙ্গে যৌথভাবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি টিকা, চীনের সিনোভেক বায়োটেকের তৈরি টিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা টিকা।