Type to search

Lead Story Uncategorized আন্তর্জাতিক

সম্পর্কের অবনতির মাঝেও আমেরিকার বিনিয়োগে সৌদির চোখ

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি ইস্যুতে কয়েক দশকের মিত্র যক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে সম্পর্কের অবনতি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ পেতে উদগ্রীব রিয়াদ।

আগামী বুধবার থেকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটির ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ বা বিনিয়োগ সম্মেলন। চলতি বছরের এই সম্মেলনটি নানা করণেই সৌদি আরবের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

যেমন তেলের উপর অর্থনীতির নির্ভরতা কমিয়ে আনতে দেশটির প্রয়োজন বিদেশি বিনিয়োগ। তাছাড়া সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও বিদেশি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী এক দশকেরও কম সময়ে নতুন নতুন ব্যবসায়িক খাত তৈরির মাধ্যমে  কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো সৌদি আরবের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না। সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের সাথে সৌদি রাজপরিবার জড়িত এমন অভিযোগ এবং সেই সাথে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তেমন একটা সাড়া পায়নি সৌদি।

চলতি বছরের সম্মেলন ঘিরে আশা দেখলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতিক জটিল সমীকরণে আটকে আছে দেশটি। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ওয়াশিংটনের সাথে রিয়াদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে শুরু হওয়া গভীর সম্পর্কের ফাটল অনেকটা স্পষ্ট। বিশেষ করে তেল উৎপাদনকারীদের জোট ওপেক প্লাসের দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ কমানোর ঘোষণায় সৌদির উপর নাখোশ যুক্তরাষ্ট্র।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবি, তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে লাভবান করবে। এর প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরবকে এর ‘ফল ভোগ’ করতে হবে এমন মন্তব্যও করেন জো বাইডেন। তবে রিয়াদের দাবি, বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত জোটের।

এরই মাঝে সৌদি আরবের বিনিয়োগ সম্মেলন পশ্চিমাদের বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিটের হর্তাকর্তাদের কতটা আকৃষ্ট করতে পারবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা দূরত্ব বজায় রাখবে এমনটা মনে করছেন না বিশেজ্ঞরা।

ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড এটিয়াস সংবাদসংস্থা  রয়টার্সকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের চারশরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিবেন এই প্রত্যাশা তাদের।

অবশ্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেপি মরগান, জেমি ডিমোন এবং বিএনওয়াইয়ের কর্তাব্যক্তিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এদিকে গোল্ডম্যান স্যাক্স, ব্ল্যাকস্টোন, বোয়িং অ্যান্ড ফ্রাংকলিন টেম্পেলটনের প্রতিনিধিরাও সম্মেলনের যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো এবং হাইব্রিজ অ্যাডভাইজোরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আডেল হামাইজিয়া বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না যে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি আরবকে এড়িয়ে চলবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরবের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা খুব গুরুত্বপুর্ণ। তারা দেশটির নতুন নতুন খাত যেমন পর্যটন, বিনোদন, প্রযুক্তি ও ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা খাতে ভূমিকা রাখতে পারে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »