Type to search

খেলাধুলা

হোয়াইটওয়াশ বাঁচাতে হাল ছাড়ছেন না সাকিব

২০১৪, সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর কেটে গেছে ১০ বছর। এর মাঝে টানা চার সিরিজেই হেরেছে টাইগারদের সঙ্গে। টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে, এখন সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ বাঁচানোর লড়াই। দলের তরুণ পেসার তানজিম সাকিব শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী। ড্রেসিংরুমেও এ নিয়ে ইতিবাচক কথা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন, ‘ড্রেসিংরুমে আমরা সবসময় চেষ্টা করি ইতিবাচক কথাবার্তা বলার। আমরা এখানে যে ১৫ জন এসেছি, আমরা বিশ্বাস করি এই ১৫ জনই সেরা। এই ১৫ জন যদি তাদের সেরাটা দিতে পারে, আমরা যেকোনো দিন জিততে পারবো যেকোনো দলের সঙ্গে। আমরা কখনো এ রকম চিন্তা করি না উনি নাই বা উনি থাকলে হয়তো একটু ভালো হতো। এ রকম মানসিকতা আমাদের মধ্যে নাই। আমরা যারা আছি, তারাই চেষ্টা করি সর্বোচ্চটা দেয়ার।’
ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামার আগে বড় চিন্তার নাম ছিল ব্যাটিং। তবে প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করে ব্যাটাররা রানে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। যদিও সেই ম্যাচটি হেরেছে দল। পরের ম্যাচে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটার। অষ্টম উইকেট জুটিতে রেকর্ড রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের রানে ভর করে বাংলাদেশ যে পুঁজি পায়, তা নিয়ে তেমন একটা লড়াইও করা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করে ২২৭ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। এই রান তাড়ায় নেমে ৭৯ বল আগে জয় পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। ১১৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দল যখন অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় তখনই হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। দু’জন মিলে ওয়ানডেতে অষ্টম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন। ২০১৯ সালে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে মিলে নিউজিল্যান্ডে ৮৪ রান করেছিলেন মোহাম্মদ সাফিউদ্দিন। এবার সেটিকে ছাড়িয়ে ১০৬ বলে ৯২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিব। ৬২ বলে ৪৫ রান করে রস্টন চেজের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়েই আউট হন তানজিম।  দলের অভিজ্ঞ ও স্পেসালিস্ট ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আউট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন প্রথম ম্যাচে আমরা অসাধারণ ব্যাটিং করেছি। খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে ব্যাটাররা। আর এই ম্যাচে আমার মনে হয় একটু পিছিয়ে গেছি ব্যাক টু ব্যাক উইকেট যাওয়ায়। আমার মনে হয় ওই জায়গায় আমরা কলাপস করেছি। যদি আমরা ব্যাক টু ব্যাক উইকেট না দিতাম। ব্যাটাররা যদি আরেকটু জুটি বা কমিটমেন্ট নিয়ে ব্যাট করতো তাহলে হয়তো আরেকটু ভালো স্কোর করতে পারতাম।’ অন্যদিকে নিজের ব্যাটিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি টিমের যখন দরকার হবে তখন যেন ভালো ব্যাটিংটা করতে পারি। আমার মাইন্ডসেট কখনো কাজ করে না যে, আমি একজন ভালো অলরাউন্ডার হবো বা এ রকম কিছু। আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যাট করবো- সেটা প্র্যাক্টিসে হতে পারে, ম্যাচে হতে পারে। আজকে একটা সুযোগ আসছে, আমি চেষ্টা করেছি রিয়াদ ভাইকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। আর নিজের স্ট্রং জোনে যে বলগুলো পেয়েছি, শটস খেলার চেষ্টা করেছি।’ এছাড়াও দলের ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো বলবো না। কারণ তামিম যেভাবে ব্যাটিং করে, এটা ওর ন্যাচারাল ব্যাটিং। ও এখান থেকে বের হয়ে এলে এটাও হবে না। ও খুব ভালো স্মুথলি কিন্তু রান করছিল। ওরা ভালো বোলিং করেছে অবশ্যই। ওরা ভালো সুইং করিয়েছে। যেটা সিলস বলেছে ময়েশ্চার ছিল উইকেটে। ওরা ভালো সুইং, ক্যারি পাচ্ছিল উইকেটে। আমরা হয়তো আরেকটু কমিটমেন্ট নিয়ে মনোযোগ দিয়ে ব্যাট করতে পারতাম। কারণ এটা খুব ভালো উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য। আমার কাছে মনে হয় আমরা যদি আরেকটু সময় নিতাম, তাহলে পরে কাভার আপ করা যেত।’

-মানবজমিন

Translate »