Type to search

খেলাধুলা

নাজিবুল্লাহর ঝড়ে ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ

হাল ছাড়া নয়। শেষের আগে হারা নয়। নেতৃত্বে ফেরা সাকিবের এই মন্ত্রে অল্প রানে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু নাগালে লক্ষ্য পাওয়া আফগানদের আটকানো সম্ভব হয়নি। শেষে দারুণ ব্যাটিং করে নয় বল থাকতে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নাম লিখিয়েছে।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক জানিয়ে শুরুতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অথচ দুবাই স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টস জয়ী দল পরে ব্যাটিং করে জিতেছে। ফ্রেশ উইকেটে সিদ্ধান্ত ভালো হয়নি শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতায় বুঝতে পারে বাংলাদেশ। ২৮ রানে হারায় ৪ উইকেট। একে একে ফিরে যান নাঈম শেখ (৬), এনামুল বিজয় (৫), সাকিব (১১) ও মুশফিকুর রহিম (১)।

এরপর পাঁচে নামা আফিফ হোসেন এবং ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ ধীর ব্যাটিংয়ে ২৫ রানের জুটি গড়েন। আফিফ ফিরে যান ১৫ বলে ১২ রান করে। মাহমুদউল্লাহও সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ‘কচ্ছপ গতির’ ব্যাটিংয়ের বৃত্তে আটকা থেকে রশিদ খানের বলে ২৭ বলে এক চারে ২৫ করে আউট হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। এছাড়া শেখ মেহেদি ১২ বলে ১৪ রান যোগ করেন।

জবাব দিতে নেমে ধীরে শুরু করা আফগানরা ১৫ রানে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে হারায়। মাহমুদউল্লাহ তাকে জীবন দেওয়ার পরে সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। অন্য ওপেনার হযরতুল্লাহ জাজাই ২৬ বলে তিন চারে ২৩ রান করেন। দলীয় রান তখন ৯.২ ওভারে ৪৫। মোহাম্মদ নবী ১৩তম ওভারের শেষ বলে আউট হন ৮ রান করে। দলটির রান তখন ৬২।

শেষ ৭ ওভারে জয়ের জন্য ৬৬ রান দরকার ছিল আফগানদের। সহজ ছিল না কাজটা। কিন্তু পাঁচে নামা নাজিবুল্লাহ জাদরান ঝড়ো ইনিংস খেলে মুহূর্তে রান তুলে ফেলেন। তাকে সঙ্গ দেন তিনে নামা তরুণ আফগান ব্যাটার ইজাদরান। নাজিবুল্লাহ ১৭ বলে ছয়টি ছক্কা ও এক চারে ৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। মুস্তাফিজ, শেখ মাহেদি ও সাইফউদ্দিনের ওপর চড়াও হন তিনি। ইব্রাহিম ৪১ বলে চারটি চারে ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।

এবিসিবি/এমআই

Translate »