৭ অক্টোবর নিয়ে ইসরায়েলি বক্তব্যের বেশিরভাগই মিথ্যা

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের পর হামলার ঘটনাগুলোর ফরেনসিক বিশ্লেষণ করেছে আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট (আই-ইউনিট)।
ওইদিন হামাস যোদ্ধারা রকেট হামলা চালায় এবং ইসরায়েলে ঢুকে বেশ কিছু এলাকায় হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন নিহতের পাশাপাশি ইসরায়েলসহ বেশ কিছু দেশের শতাধিক নাগরিককেকে অপহরণের পর জিম্মিও করে হামাস।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয় হামাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু আই-ইউনিটের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব অভিযোগের অনেকগুলোই মিথ্যা।
সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ, ড্যাশক্যাম, ব্যক্তিগত ফোন এবং নিহত হামাস যোদ্ধাদের হেডক্যামের ফুটেজ পরীক্ষা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে আই-ইউনিট।
আই-ইউনিট তাদের অনুসন্ধানের ওপর একটি ভিডিও প্রতিবেদন ‘৭ অক্টোবর’ ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার আজ-জাজিরাও প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার গবেষক ক্রিস কোব-স্মিথ বলেছেন, ‘এই ফুটেজ নিয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, আমরা বলতে পারব না যে তারা হামাস যোদ্ধা নাকি জিম্মি। এবং আমি বিশ্বাস করি না যে হেলিকপ্টার পাইলট বা মেশিনগান অপারেটরদের কেউ তা বলতে পারবে।’
ইসরায়েলি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাকার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডার ইয়োসি ল্যান্ডউ ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যেসব দাবি করেছেন, আই-ইউনিট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সেগুলোকে যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করছে।
‘ব্যাপক ও সিস্টেম্যাটিক’ ধর্ষণের যেসব অভিযোগ উঠেছে, আই-ইউনিট সেগুলোও পরীক্ষা করে দেখেছে। এসব অভিযোগের সমর্থনে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে পারেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে বিচ্ছিন্নভাবে ধর্ষণ সংঘটিত হতে পারে বলে উপসংহারে পৌঁছেছে অনুসন্ধানকারীরা।
উইমেন’স ইন্টারন্যাশনাল লীগ ফর পিস অ্যান্ড ফ্রিডমের জেনারেল সেক্রেটারি ম্যাডেলিন রিস বলছেন, ‘ব্যাপক ও সিস্টেম্যাটিক’ বলতে হলে এখন পর্যন্ত যতটা প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রমাণের প্রয়োজন।
এবিসিবি/এমআই