হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-পাকিস্তান একযোগে কাজ করার আহ্বান
হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. শাহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ। আমাদের মধ্যে উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু আমরা সবসময় বুঝেছি যে, আমাদের একে অপরের প্রয়োজন’।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব আর্টস (PNCA) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি হিন্দুত্ববাদের মতো ‘বড় শত্রুর’ মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনার পতনের পরই মূলত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি ঘটেছে।
এমনকি গেল মাসেই প্রথমবারের মতো সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ২৫,০০০ টন উচ্চমানের চিনি আমদানি করেছে। যা আগে ভারত থেকে আমদানি করা হতো।
সম্প্রতি ত্রিপুরার বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর আক্রমণ ও বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার ঘটনার পর ঢাকা থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ভারতীয় আগ্রাসন এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের বার্তা
এদিকে ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং তরুণ নেতৃত্বরা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
একই সঙ্গে এতে ‘জুলাই-আগস্ট বা বর্ষাকাল বিপ্লব’ নামে পরিচিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনকেও স্মরণ করা হয়।
রাফাহ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন, পাক সোশ্যাল অ্যালায়েন্স এবং পাকিস্তান সিভিল সোসাইটি দ্বারা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ড. প্রফেসর শহীদুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক স্কলার উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামাবাদের এই সম্মেলন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ