সুনীতাদের আনতে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে গেল ইলন মাস্কের মহাকাশযান

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছে গিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ক্রিউ-১০। ফ্যালকন ৯ রকেটে ওই মহাকাশযানটিকে পাঠানো হয়েছে। ২৯ ঘণ্টা ধরে যাত্রা করার পর চার মহাকাশচারীকে নিয়ে এই মহাকাশযান নোঙর বেঁধেছে স্পেস স্টেশনে। এ বার সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের ঘরে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে।স্পেস এক্সের এই যানটির নাম রাখা হয়েছে ‘ড্রাগন ক্যাপসুল’। ক্রিউ-১০ মিশনে যুক্ত রয়েছেন আরও চার মহাকাশচারী।
নাসার অ্যানি ম্যাকক্লেইন এবং নিকোল আয়ারসের পাশাপাশি রাশিয়ার রসকসমসের কিরিল পেসকভ এবং জাপান এয়ারোস্পেসের তাকুয়া ওনিশিও এই মহাকাশযানে চেপে পৌঁছে গিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সুনীতারা তাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন। নাসা সূত্রে খবর, গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই মহাকাশযানের দরজা খুলে যায় না। আগে নিরাপত্তা এবং বহিরাগত চাপ সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। তার জন্য ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছে। তার পরেই বেরিয়ে আসেন ওই চার জন।
মহাকাশযানে সুনীতা এবং বুচের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন নাসার নিক হগ এবং রাশিয়ান নভোশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। কিছুদিন আগে ড্রাগন যানে চড়ে তারা মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার সুনীতাসহ চার জনকে নিয়ে আবার পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে স্পেসএক্সের মহাকাশযান। গত বছরের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যে যানে চড়ে তারা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাতে সুনীতাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ওই মহাকাশযানে সুনীতারা ফিরবেন না। ফলে মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা এবং বুচ। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে পৃথিবীবাসী। অবশেষে সুনীতা উইলিয়ামসদের ঘরে ফেরার পালা।
সূত্র : ডেকান হেরাল্ড